
ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের কোনো চিহ্ন রাজনীতিতে তো দূরের কথা, ভোটের বাক্সেও থাকা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক টক শো'তে তিনি আরো বলেন, আগে একবার আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিলেও সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে তা প্রতিহত করেছে। কিন্ত এবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার বাদে কেউ কথা বলছে না। এটি অত্যন্ত সন্দেহজনক, যা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করছে না। আওয়ামী লীগ নূর হোসেনকে নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ এখন একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।
আশরাফ কায়সার বলেন, আওয়ামী লীগ পরীমণিকে নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ অপু বিশ্বাস, যিনি একজন নায়িকা। তিনি শোরুম উদ্বোধন করতে যেতে পারেনি তাই আবেগঘন হয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সেটিকে প্রচার করছেন, শেয়ার করছেন এবং বলছেন অভিনেত্রীর অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সেই দল, যে আমাদের সকলের নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, জীবনের অধিকার হরণ করেছে। সেই দল আজকে একজন নায়িকার অধিকার নয়ে চিন্তিত। কতটা দেউলিয়া হলে শেখ মুজিব, হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ পরীমণি ও অপু বিশ্বাসে এসে স্থিতি পেয়েছেন।
রাজনৈতিক দল বিশেষ করে, জামায়াত-বিএনপি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি এরা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। সেটিই জনগণের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, নৈতিকভাবে চিন্তা করলে আওয়ামী লীগের টপ লিডাররা তাদের জীবদ্দশায় আর রাজনীতি করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনদিন আসতে পারবেন না। তাদের যে চেহারা আমরা গত ১৫ বছর দেখেছি, তাতে এদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।
ফেসবুকে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়ে মাঠ জমাতে চেষ্টা করেন, এক ভদ্র মহিলা দিনে ২-৩ টা বয়ান শেয়ার করেন। যিনি কিনা মনেই করেন না ১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে নাগরিক অধিকার হরণ করেছে তাতো ভাবেই না। তারা এখন ইউনূস সরকার ও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এই ধরনের কথা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার পেইড লোকজনই বলতে পারে।
১৪ সালের নির্বাচনের পরে একটি চা চক্রে দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো সুশীলদের। এই দল দাসরা কীভাবে বাংলাদেশের ভোটহীনতার নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করেছিল সবাই দেখছে। এরাই এখন নাটক-সিনেমা, শিল্প-সাহিত্যের নামে ফেরত আসার চেষ্টা করছে।
রিফাত