ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

সাঈদীর মৃত্যু মেডিক্যাল কিলিং কি না তা জানাতে হবে: আজহারি

প্রকাশিত: ২২:৩০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৬, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সাঈদীর মৃত্যু মেডিক্যাল কিলিং কি না তা জানাতে হবে: আজহারি

ছবি: সংগৃহীত।

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক ও বিদআতের আস্তানা ভেঙে দিয়েছেন। তিনি আজীবন ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চেয়েছিলেন এবং অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব শোকাহত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল, নাকি এটি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনও জানি না। তাই বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’

আজ শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজহারি বলেন, ‘অধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন সোচ্চার। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন এবং তাই তাঁর মৃত্যু পরিকল্পিত মেডিক্যাল কিলিং হতে পারে। এই ধারণা আমরা করতেই পারি। বর্তমানে বাংলাদেশ যে চমৎকার সময় কাটাচ্ছে, তা আমাদের জীবনে একমাত্র সুযোগ। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল নাকি এটি হত্যাকাণ্ড, তা তদন্ত করে গণমানুষের কাছে প্রতিবেদন জানানো উচিত।’

অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন- আমরা একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন দিতে চাই, যেখানে দিনের ভোট দিনে হবে এবং রাতে ভোট হবে না। সবার নিজ নিজ ভোটাধিকার নিশ্চিত থাকবে এবং কোনো কারচুপি হবে না। আমরা একটি বৈষম্যহীন, সুন্দর এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের কুরআনকে ধারণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যারা অপকর্ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগর জামায়াত আমির শাহজাহান চৌধুরী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, সাঈদী পুত্র মাওলানা শামীম সাঈদী প্রমুখ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ মাহফিলটি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতির উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হয়, এবং চট্টগ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। প্যারেড মাঠসহ সংলগ্ন এলাকাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সায়মা ইসলাম

×