ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ তো একটা ভয়ঙ্কর একটা রাজনৈতিক দল, গণশত্রুর দলকে তো বাংলাদেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। সম্প্রতি জিটিভি আয়োজিত এক টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রথম প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ না, আওয়ামী লীগ তো নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। আইনের চোখে তো তাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে, তো সেই জায়গা থেকে এখন তারা কর্মসূচিও ঘোষণা করছে। তো মানুষ কি এটা থেকে বার্তা পাবে এরকম, যে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরছে?
জবাবে সৈয়দ এমরান সালে প্রিন্স বলেন, আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন এটা আসলে কি বলবো! আওয়ামী লীগ তো একটা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল, গণহত্যাকারী, গণশত্রু। তারা মানে এতটাই নির্লজ্জ, বেহায়া যে আপনি নিজেই বলেছেন যে, তারা এই যে হাজার হাজার ছাত্র-তরুণকে হত্যা করেছে সেটা তো মাত্র ৩৬ দিনে। তার আগে ১৫ বছর গুম, হত্যা, ক্রসফায়ার, দুর্নীতি, লুটপাট, যথেচ্ছাচার মানে কর্তৃত্ববাদী একটা দুঃশাসন, আগ্রাসী শক্তিকে এখানে নিয়ে আসা, আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তো এগুলো করে যারা, মানে তাদের পতন হলো এবং ইতিহাসের একটা শোচনীয় পতন এরকম কিন্তু হয়নি বাংলাদেশে। হ্যাঁ, বাংলাদেশে আরো স্বৈরাচার ছিল। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হয়েছে। তিনি কিন্তু দেশ ছেড়ে যান নাই, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নাই। এবং বলেছেন যে আমি কোথাও যাব না, আমি এখানেই থাকবো বা আমার বিচার হলে হবে, তার বিচার হয়েছে।
কিন্তু শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ তারা এই সাহসটি দেখাতে পারে নাই ,কারণ তাদের তো দুর্বলতা, ওই জায়গাতে। সে তো জানে সে কি করেছে, সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়ে তারা একটা নির্বাসিত দল মানে শীর্ষ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই, সবাই একদম সেখানে। মানে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার পাচার করেছে, সেই টাকা নিয়ে তারা বিদেশে অবস্থান করছে। সেখানে বসে বসে তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। একটা রোমান্টিজম মনে হয় তাদের মধ্যে কাজ করছে এবং তারাও এখানে বাংলাদেশে কি হয়ে গেল বা কি হচ্ছে। এই কোন নূন্যতম অনুশোচনাবোধ তাদের নাই তারা কি করেছে। কোন নূন্যতম অনুশোচনাবোধ তাদের নাই।
দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ধরা যাক, তাদের ভেতরে কোন নৈতিক বোধ নেই এবং তারা রাস্তায় নামলো। আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল না, তাহলে ?
জবাবে তিনি বলেন, আইন দিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু বিবেচনা করা যায় না। হ্যাঁ, আইনগতভাবে আওয়ামী লীগ একটা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়। এটা এখন পর্যন্ত তারা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু তারা তো গণধিকৃত, তারা গণহত্যাকারী, তারা গণশত্রু। এই গণশত্রের দলকে তো বাংলাদেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করবে না, কখনোই গ্রহণ করবে না। হ্যাঁ, তারা যদি এই গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতো, তারা যদি অনুশোচনা করতো, তারপরে সেটা বিবেচনা করা, করতে পারতো জনগণ, কিন্তু যারা, যাদের সে অনুশোচনাবোধ নাই, তারা একের পর এক নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
ওই পালিয়ে যাওয়া হাসিনা, যে যে কয়টা আমরা তার টেলিফোন কনভার্সেশন আমরা শুনেছি বা দুই একটা টেলিফোনে ভাষণও দিয়েছেন, দুই এক জায়গায় বিদেশের কোন কোন প্রোগ্রামে, সেগুলি শুনেছি, এইটা তো একটা নির্লজ্জ মানে ফ্যাসিস্ট। এবং তারা যে বিবৃতি দিয়েছে গত পরশুদিন সেখানে, সেখানে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছে। তার মানে এটা কি পুতুল খেলা তো। এইটা করে তারা প্রমাণ করলো, তারা নির্লজ্জ, বেহায়া এবং এই উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে, আমি যেটা শেষ করতে পারিনি, তাদের নেতারা তো পালিয়ে গেছে, তাই না, কিছু তাদের কর্মী-সমর্থক দেশে আছে, তারাও যাও একটু ভালোভাবে থাকার চেষ্টা করছিল মানে তাদের জীবনকে কিন্তু তারা বা তাদেরও ভবিষ্যৎকে তারা বিপন্ন করে দিল।
মো. মহিউদ্দিন