ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

তারেক রহমানের সংস্কারপন্থী বক্তব্য ধরতে পারছেনা বিএনপির নেতাকর্মীরা:সাইয়েদ আবদুল্লাহ

প্রকাশিত: ১৪:০২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

তারেক রহমানের সংস্কারপন্থী বক্তব্য ধরতে পারছেনা বিএনপির নেতাকর্মীরা:সাইয়েদ আবদুল্লাহ

সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়েদ আব্দুল্লাহ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে,পাঁচ আগস্টের আগে এবং পাঁচ আগস্টের পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিশাল পরিবর্তন এসেছে। যারা টিপিক্যাল রাজনীতির ধারা বজায় রাখতে চায়, তাদের জন্য এখন রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেছে।

একসময় বাংলাদেশে এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল, যেখানে নেতাদের প্রশ্ন করা যেত না, সমালোচনা করা হতো ভয়ঙ্কর ঝুঁকির বিষয়। এমনকি, টকশোতে প্রকাশ্যে কথা বলার পর অনেকেই বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে, যদিও ১০০% বলা যায় না।

সাইয়েদ আবদুল্লাহ মনে করেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংস্কার প্রচেষ্টা এখন এক নতুন মোড় নিয়েছে। তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান বিএনপির রুট লেভেলের নেতা-কর্মীদের জন্য সহজবোধ্য হচ্ছে না। কারণ, বিএনপির অনেক কর্মী এখনও পুরনো রাজনৈতিক চর্চার ধ্যানধারণায় আটকে আছেন। অথচ তারেক রহমান প্রচণ্ড সংস্কারপন্থী বক্তব্য দিচ্ছেন এবং দলের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা বিএনপির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের এই সংস্কারের প্রকৃত প্রতিফলন কবে বোঝা যাবে? তখনই বোঝা যাবে যখন চাঁদাবাজি ও অনিয়মে জড়িত নেতা-কর্মীদের আর মনোনয়ন দেওয়া হবে না, তাদের দলীয় পদ-পদবিতে রাখা হবে না। এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে বোঝা যাবে যে, বিএনপিতে সত্যিকারের সংস্কার হচ্ছে।

একইভাবে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন নিয়েও তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে, দলটির কিছু অংশ এখনও তাদের পুরনো রাজনৈতিক কৌশল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টায় লিপ্ত। বিএনপির মতো জামায়াতকেও ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য সংস্কারপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।

তবে তিনি সতর্ক করেন যে, বর্তমান এই সংস্কার উদ্যোগ কি বাস্তবিক পরিবর্তনের সূচনা, নাকি কেবলমাত্র নির্বাচনের আগে ভালো সাজার একটি প্রচেষ্টা? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে নির্বাচনের পরে। কারণ, এখনো অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন যে, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আসলেই পরিবর্তন আনতে চায়, নাকি শুধু নির্বাচনের কৌশল হিসেবে সংস্কারমুখী সেজে আছে। তাই এখনো চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময় আসেনি।

সাইয়েদ আবদুল্লাহর মতে, যদি বাস্তবিক অর্থে সংস্কার হয়ে থাকে, তবে তা নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকবে। অন্যথায়, এটি শুধুই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

সূত্র:https://tinyurl.com/5bkyrtrp 

 

আফরোজা

×