ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে যদি ভালো কিছু সম্ভব হয়, তা একমাত্র বিএনপি করতে পারে। রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে গেলে তা মেরামত করা করা একান্ত প্রয়োজন।জনগণের আশা প্রত্যাশা চাওয়া যে কোনো মূল্যে সমাধান করতে হবে।
দেশ-সমাজে জবাবদিহিতা ও নির্বাচনী ব্যবস্থা না করলে কোন সমস্যার সমাধান হবে না।নির্দিষ্ট সময়ের পরে যতো ঝড়-তুফানই আসুক না কেন, নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।কোনো কম্পোমাইজ নেই, নির্বাচন হতেই হবে।সমস্যার সমাধান করতে হবে তাদেরকে দিয়ে, যাদের জবাবদিহিতা থাকবে জনগণের কাছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা সাহিদ গার্ডেনে "রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা" শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ৬ শতাধিক নেতা অংশ নেন। এদিন বেলা সাড়ে ৪ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশকে লুটপাটের সাথে সাথে ভেঙে চুরে শেষ করে রেখে গেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা।
বিএনপির দেয়া ৩১ দফার ভিত্তিতে অবিলম্বে দেশটাকে মেরামত করা জরুরী। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামীতে বিএনপির পক্ষ থেকে কৃষকদের উন্নয়ন ও তাদের কৃষিকাজে সকল ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে। ফার্মার্স ও ফ্যামিলি কার্ড করে দেয়া হবে। এর ফলে তারা ভূর্তকি মূল্যে সার-বীজ, পরিবারের চিকিৎসা সেবা সহ যাবতীয় সূযোগ-সুবিধা পাবেন। স্বাস্থ্য সেবায় বেশি সংখ্যায় মেয়েদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশে ৭০ হাজার প্রশিক্ষিত নার্স আছে। তিনি এসময় আরও উল্লেখ করেন, চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যায়, এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।তিনি এসময় তার বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়েছেন,সেই টাকা লুট-পাট করেছেন।
hশ্রমিক মালিক এক হয়ে ভাই ভাই হয়ে উন্নয়ন সাধন করতে হবে। বিএনপির দেয়া রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এটির বাস্তবায়ন করতে হবে। বিদেশে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের যে দক্ষ জনশক্তি রয়েছে সেই জনশক্তি রফতানি করতে হবে। আমাদের নেতা চান এদেশের শিক্ষিত কোন তরুন তরুণী যেন বেকার না থাকেন। শিক্ষিত অনার্স- মাস্টার্স পাস করে কোন তরুন-তরুণী যেন তার পরিবারের কাছে বোঝা না হন ।এ কারণে তাদেরকে ন্যুনতম এক বছর বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। যাতে করে তারা এসময়টাতে চাকরি খোঁজার জন্য অনুকূল পরিবেশ পান। স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নয়নে আমাদের বাজেট অনেক বাড়িয়ে জিডিপির ৫ পার্সেন্ট করা হবে। মানুষকে হার্টের পরিক্ষা-নিরীক্ষা সহ সামগ্ৰিক চিকিৎসার জন্য আমেরিকার চিকিৎসা পদ্ধতির আলোকে উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক চিকিৎসা সেবার বিরাট বিস্তার ঘটানো হবে। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল।
কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি আয়োজিত
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী। বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা মহিলা দলের আহবায়ক রউফুন নাহার রিনা,দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,সাধারন সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুৃল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী, দর্শনা পৌর বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বুলেট, নাহারুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোকাররম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসেন জোয়ার্দ্দার সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জাফরান