![বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ এবার জামায়াত? বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ এবার জামায়াত?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-3-2501300300.jpg)
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিকটবর্তী হবার সাথে সাথে দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে যা এক নতুন সমীকরণের আভাস দিচ্ছে।
ভোটের মাঠে তৈরি হচ্ছে নতুন সব নির্বাচনী সমীকরণ। বিএনপির তিন দশকের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত এবার হতে পারে দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ। ভোট ও জোটের খেলায় কদর বেড়েছে ছোট দলগুলোর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী প্রতিটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা।
আর জামায়াতের নায়েবে আমির ডাক্তার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, শুধু রাজনৈতিক দল নয়,দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে নির্বাচনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।ঠিক সময় যত গড়াচ্ছে রাজনীতির মাঠে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ প্রতিটি নাগরিক সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সক্ষমতা অর্জন জরুরি ।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বড় আলোচনা ছিল দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আর জামাত এর মধ্যকার দূরত্ব। দিন যত যাচ্ছে, সেই দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে আরও। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার জোটের নতুন রূপরেখা দাঁড় করাবার চেষ্টা করছে তারা।ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলে আনার চেষ্টা তাই দুই দলেরই ।
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ ঢাকায় চরমোনাই পীরের সাথে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি মহাসচিব। খবর আছে পর্দার অন্তরালে ও যোগাযোগ চলছে তাঁদের মধ্যে। তবে মুফতি রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াত আমির দেখার নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ মন্তব্য করে জোটবদ্ধ নির্বাচন নিয়ে দলের ভাবনার কথা জানান জামায়াতের নায়েবে আমির।
তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামির তিনশ আসনেই নির্বাচন করার জন্য প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আর ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি দলকেই নিজেদের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বলে মনে করেন বিএনপি। জোট গঠনের বিষয়টা কিন্তু এটা নতুন কিছু না। শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আমাদের সাথে কিন্তু অনেক দল ছিল। এখন যদি নির্বাচন ঘোষিত হয় কারা কারা আমাদের সাথে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবেন। সেটা কিন্তু শিডিউল ঘোষণার আগে বলা যাবে না।আমরাও কথা বলছি।জামায়াতে ইসলামও কথা বলছে।”
ব্যালটে নৌকার উপস্থিতি থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তর এড়িয়ে তাঁরা জানান, ভোটের আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত। ১৫বছর যাবৎ যে কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি,স্বাভাবিক ভাবে আমরা চাইব যেগুলো অন্যায়, দেশের আইনের বিরুদ্ধে গায়ের জোরে করেছে তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।
যাঁরা গত ১৫ বছরে মানুষকে নির্বাচন করতে দেয়নি।অন্য্য়ভাবে ১৫ বছর শাসন করেছে।তাঁদের সেই বিচারটি হওয়া উচিত। সেই বিচারের পরে যদি দেখা যায় যে জনগণ তাদেরকে গ্রহণ করছে,সেটা জনগণ ডিসাইড করবে।কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ রা যাতে আসতে না পারে তাই সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।
সূত্র:https://www.youtube.com/watch?v=0L-OBKovf20
আফরোজা