মহিউদ্দিন রনি ছবি: সংগৃহীত।
রেল সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ও অ্যাক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন রনি বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে বিজিবিকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি আজ (২৮ জানুয়ারি) রাত ১০টায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেছেন তাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি লিখেছেন, “মহিউদ্দিন রনি বিজিবিকে গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছে”— এমন শিরোনামে একটি ক্লিকবেইট ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পেইজ থেকে পেইড প্রোমোশনের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে এবং এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আসলে কী ঘটেছে।
রনি লিখেছেন, “মূল ঘটনা হলো, আওয়ামী লীগের পাঁতানো ফাঁদে পড়ে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়ে ভাইয়ে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, সেই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দুই দিক থেকেই আমাদের কিছু শিক্ষার্থী পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। শিক্ষার্থীরা যখন প্রায় শান্ত হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন নীলক্ষেত থেকে ছোড়া কিছু ঢিলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে কারো মাথা ফেটে যায়, কারো বুকে বা চোখে আঘাত লাগে। নিরীহ শিক্ষার্থীরা আহত হন। এমনকি আমিও আহত হই।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আপনারা ভিডিওটি ভালো করে শুনলে দেখবেন, তখন আমি বিজিবির ভাইদের প্রচণ্ড শব্দের মধ্যে জোরে বলছিলাম—‘আপনারা সামনে যান। আমরা শিক্ষার্থী ভাইদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছি।’ পরিশেষে বিজিবি এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। পাশাপাশি, আমি ধন্যবাদ জানাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শান্তিকামী শিক্ষার্থীদের, যারা বারবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নিজের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করেছেন।”
মহিউদ্দিন রনি অভিযোগ করেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা রকম ক্লিকবেইট এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। বিজিবিকে এমন নির্দেশ দেওয়ার মতো ক্ষমতাই আমার নেই। আর যেখানে আমরাই সংঘাতে না জড়ানোর চেষ্টা করছি, সেখানে এমন নির্দেশ আমি কেন দেব? শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিশ্চয়ই বিষয়টি বুঝবেন।”
সূত্র: https://www.facebook.com/100083687345548/posts/583529267779980/?rdid=XjW67JXqLfa64gBK#
সায়মা ইসলাম
