ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

কবে দেশে ফিরছেন আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতারা!

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

কবে দেশে ফিরছেন আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতারা!

ছবি: সংগৃহীত।

গোপনে আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দলকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় রয়েছেন বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নেতারা শাসন প্রক্রিয়া এবং রাজনীতিতে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন এবং আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশে ফেরার পরিকল্পনার করছেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ ছয় মাস পর দলের শীর্ষ নেতারা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তারা হলেন: আ ক ম মোজাম্মেল হক, নাহিম রাজ্জাক, বাহাউদ্দিন নাছিম, পঙ্কজ দেবনাথ, সাইফুজ্জামান শেখর, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে বসেই দলকে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সাবেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন।

সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী বর্তমানে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের অনেকের খাবার কেনার মতো টাকাও নেই। তবে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মনোবল এখনো অটুট।

দলের অন্যতম নেতা নাহিম রাজ্জাক জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাদের বাংলাদেশে ফেরা উচিত। তিনি আরও বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০-৩০০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

এদিকে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের আগেও বিরোধী দল হিসেবে ছিল। তবে এমন সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি দল কখনো হয়নি।

অন্যদিকে, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ দাবি করেন, তিন লাখের বেশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এখন আত্মগোপনে রয়েছে।

তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভালোভাবে নেয়নি। সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের অংশ। প্রতিবেদনে যাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তারা সবাই সন্দেহভাজন অপরাধী এবং গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ না করে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ।

সায়মা ইসলাম

×