ছবি: সংগৃহীত।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ৭ আগস্ট বাড়ি ছেড়েছি।
দেশে ফিরবেন কবে—এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেই আমি দেশে ফিরব।”
তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের একজন কমান্ডার ছিলাম, তাই আমি জানি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত কী করেছে। ভারত সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে এবং এখন কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারে। কামাল ভারতের প্রতি কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালতগুলো বর্তমানে কার্যক্রমহীন হয়ে পড়েছে এবং আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা আদালতে যেতে পারছেন না।
নিজের পরিস্থিতি সম্পর্কে কামাল বলেন, আমার একমাত্র ছেলে জেলে। কাশিমপুর কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে, যেখানে আমরা একসময় সন্ত্রাসীদের আটক রাখতাম। কয়েকদিন পরপর বর্তমান সরকারের কেউ সেখানে গিয়ে আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে, আমি কোথায় আছি। আর আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯০টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক রেকর্ড। এমনকি ৫৪টি মামলায় যাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তারা জীবিত ফিরে এসেছেন। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নাম রয়েছে।
দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। অবশ্যই নির্বাচন লড়ব, যদি সেখানে যেতে পারি। তবে সেটি তখনই সম্ভব, যখন আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, বিচারকরা স্বাধীনভাবে মামলা শুনতে পারবেন এবং আমাদের পক্ষের আইনজীবীরা আমাদের পক্ষে লড়তে পারবেন।
সায়মা ইসলাম