ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

সরকারি বেতনে বৈষম্য দূর করা দরকার: নুর

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

সরকারি বেতনে বৈষম্য দূর করা দরকার: নুর

বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হলেও দেশের অভ্যন্তরে তার ভূমিকা নিয়ে অনেকেই হতাশ। জাতি সংকটময় মুহূর্তে তার ওপর নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দেননি বলে সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি তার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়ে যেসব কথা বলেছেন, তা থেকে বোঝা যায়, দেশ পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার প্রস্তুতি বা চিন্তাভাবনা ছিল অপর্যাপ্ত।

সরকারি চাকরির বেতন কাঠামোতেও চরম বৈষম্য রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা লক্ষাধিক টাকা বেতন-ভাতা পেলেও, ২০তম গ্রেডের কর্মীরা মাত্র ৮,২০০ টাকা পান। এই বৈষম্য চরম অসাম্যের উদাহরণ, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এমন বৈষম্য দূর করে বেতন কাঠামোকে চার-পাঁচটি স্তরে সীমাবদ্ধ করা উচিত।

নির্বাচন ব্যবস্থায়ও কালো টাকা এবং পেশিশক্তির প্রভাব খুবই দৃশ্যমান। একজন প্রার্থীকে স্থানীয় নির্বাচন করতেও ৮-১০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। এই বিপুল ব্যয় সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব। এ কারণে ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে এই সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রার্থীদের প্রচারণা ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা উচিত।

২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদ ঘোষণা দিয়েছিল যে দলীয় প্রধান এবং সরকার প্রধান একই ব্যক্তি হওয়া উচিত নয়। কারণ দলীয় প্রধান একটি দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন, কিন্তু সরকার প্রধান পুরো দেশকে। একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না বলেও তারা প্রস্তাব করেছিল। এই সংস্কারের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কর্তৃত্ববাদ কমানোর উদ্দেশ্য ছিল।

বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা যায়, ক্ষমতায় থাকা দলগুলো নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ এবং ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেছে। গত পাঁচ দশকে কেউই এই প্রবণতা থেকে বিরত থাকেনি। তাই জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করার প্রস্তাবও যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করা হয়।

এখন সময় এসেছে, যেখানে নির্বাচনে কালো টাকা এবং পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য বন্ধ করে সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, জনগণের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।

 

রাজু

×