ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে প্রত্যেকটা পদে বাধা দিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে দেয়নি রাষ্ট্রীয় সংবিধানের দোহাই দিয়ে। ছাত্ররা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে চাইল বিএনপির এটার বিরুদ্ধে দাঁড়াল। বিএনপি বলছে, সংস্কার করতে হবে না।, নির্বাচনই সংস্কার।
বিএনপি মহাসচিব বললেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। আওয়ামী লীগের বক্তব্য, দিল্লির বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য সব এক হয়ে যাচ্ছে। যে দিল্লি ছয় মাস আগেও বাংলাদেশের নির্বাচন চায়নি এখন নির্বাচনের জন্য তারা এতো উতলা হয়ে উঠেছে কেন। ভারত যে কারণে জানুয়ারির আগে নির্বাচন চায়নি ঠিক একই কারণে এখন নির্বাচন চাচ্ছে। সেটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড়াতে না দেয়া। দিল্লি এটা বুঝতে পারছে আওয়ামী লীগ এখানে আসার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। এটা সম্ভব না এই মুহূর্তে। তাদের প্ল্যান বি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করতে চাই আপনারা গত ১৬ বছর অসম্ভব রকম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ছিলেন। আপনাদের নেতাকর্মীর সাথে যে অন্যায়, যে জুলুম হয়েছে সেটার বিচার সবার আগে চাওয়া উচিত। বিচারের জন্য রাষ্ট্রসংস্কার করা বা রাষ্ট্রপুনর্গঠন করা উচিত। বিএনপি কত বড় ফাঁদে পা দিচ্ছে এটা হয়তো তারা বুঝতে পারছে না।
দিল্লি এখানে বহুবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত রাখতে পারেনি। তাই বিএনপি সহ যারা এদেশে ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের জনগনের উপর ভর করতে হবে, অন্য কারও উপর নয়। অন্য কোন পরাশক্তির উপর ভর করলে আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি হতে পারে। আওয়ামী লীগকে সরাতে ১৫ বছর লেগেছে আপনাদের হয়তো এতদিন লাগবে না। এবং অভুত্থানের মধ্য দিয়ে যাদের পতন ঘটবে তার রাজনীতিতে ফিরে আসা কঠিন হবে। দিল্লির অন্তরে আওয়ামী লীগ, মুখে বিএনপি। এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে আপনাদের উপর কেন দিল্লি ভর করছে।
বলা হচ্ছে যে, ছাত্ররা নির্বাচন চায় না। কিন্তু ছাত্ররা তো পরিষ্কার করে বলেছে, আপনারা গণপরিষদ নির্বাচন দেন। চার মাসের মধ্যেই দেন। যারা মনে করে সংসদ নির্বাচন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে যাবেন, আপনাদের গণপরিষদে আসতে ভয় কোথায়।
JF