ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

নিউমার্কেট থানায় হামলা: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ২ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

নিউমার্কেট থানায় হামলা: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ২ নেতা বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত।

নিউমার্কেট থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মিথুন এবং কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান রাসেলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মিথুন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান রাসেলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। অধিকতর তদন্ত শেষে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।”

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইমন গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন সমিতির আরেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান।

মামলার তদন্তে জানা যায়, রিমান্ডে নেওয়া এক আসামি স্বীকারোক্তি দেয় যে তাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন ছাত্রদল নেতা মিথুন। ইমন গ্রুপের মূল হোতা সানজিদুল হাসান ইমনের চাঁদাবাজির কাজে ধানমণ্ডি এলাকায় মিথুন যুক্ত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকা থেকে মিথুনকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে আসা হয়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে মিথুনকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি থানার প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মিথুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা লাঠি, লোহার রড, চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করে।

এই হামলায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরব আলী, এসআই ফিরোজ আহমেদ এবং এসআই খন্দকার মেসবাহসহ চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

তবে পুলিশের প্রতিরোধে হামলাকারীদের অনেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনা ছাত্রদল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।

সায়মা ইসলাম

×