ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে নাহিদের তীব্র প্রতিক্রিয়াই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে নাহিদের তীব্র প্রতিক্রিয়াই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য

 

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে নিয়ে ফেইজবুকে পোস্ট দিয়েছে যা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলছেন, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আমরা বাংলাদের মানুষ গত ১৬ বছর একজনের মতামতের উপর অভ্যস্ত হয়ে গেছি ,শেখ হাসিনা,গণভবন,শেখ পরিবার এবং কালো কোর্ট পরা শত শত পেঙ্গুইনদেরকে এক রকম কথা শুনে শুনে মনে হয়েছে আমরা উত্তর মেরুতে থাকি।বাস্তবে তা না এটা সাইবেরিয়া না ।

একটা গনতান্ত্রিক সমাজে হাজারো মত থাকবে,মাও সেতুং এর মতো হাজারো রংকে ফুটতে দাও,একটা দলে একাধিক নেতারা একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিতে পারেন,অই দলের একই নেতা সময়ের প্রয়োজনে ভিন্ন মত দিতে পারেন,রাজনৈতিক দল গুলো ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন। অনেকেই আমাদেরকে প্রশ্ন করছেন বিএনপি জামায়াতের মধ্যে কোন বিরোধ তৈরি হচ্ছে কিনা,বিশেষ করে ছাত্রদের সাথে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে কিনা বা বিশেষ করে আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলাম তাদের মধ্যে বিরোধ হচেছ কিনা?

 

বিএনপির অমুক নেতা এ বিষয়ে এ বলেছেন,অমুক নেতা এ বলেছেন, তাহলে কি বিএনপির মধ্যে কি কোন বিরোধের রাজনীতি হচ্ছে? আসলে কিছুই হচ্ছেনা। একটা গনতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে।গত ১৬ বছর যে ফুলটাকে আমরা ফুটতে দেখিনাই,এখন ফুটার পর সবাই বিষ্মিত হচ্ছে যে এ বাগানে তো এ ফুল আগে দেখিনি। এটা চলতে থাকতে হবে,চলতে চলতে আমরা এগিয়ে যাবো। মির্জা ফখরুল সাহেব একটা মত দিয়েছেন আরেকটা পলিটিক্যাল লিডার আরেকটা মত দিয়েছেন। এই মত আলাপ তর্ক বিতর্কের মধ্যেই তো রাজনৈতিক ম্যাচুরিটি তৈরি হয়। যে নদীতে জোয়ার ভাটা হয়না সেখানে শেওলা পড়ে যায়।

 

গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনের কারণে যেটা হয়েছে, এ জাতির রন্দ্রে রন্দ্রে শেওলা পড়ে গেছে। এখন যখন জোয়ারে, বৃষ্টির নতুন পানি আসছে ,পলি আসছে ভূমিতে ,মাটিতে।তখন কৃষক আনন্দিত হচ্ছে। তো যারা কৃষি কাজ করেনা তারা বলে বন্যা হচ্ছে। এখন আমরা যারা গনতন্ত্রের কৃষক আমরা দেখতে পাচিছ পলি পড়ছে, এ মাটিটা উর্ভর হচ্ছে ,বৃষ্টির নতুন পানি পড়ছে গনতন্ত্রের আকাশে । শেওলা গুলো সরে যাচ্ছে ।

 

 এ প্রবাহের মধ্যে একটা রাষ্ট্র রাষ্ট্র আকারে হাজির হচ্ছে। এখানে দু স্টেটমেন্ট ই সঠিক এখানে মুল কোন বিরোধ নেই।ফখরুল সাহেব বলছেন একটা নির্বাচনের জন্য যে বিষয় গুলো আছে তা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় । তেমনি নাহিদ ও তাই বলেছে যে একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য ই হচ্ছে সংস্কার করে সব বিষয় ঠিক করা হচ্ছে।যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।নাহিদ ও তাই বলেছে, এক এগারোর সরকারের মতো কোন সরকার এসে ২০০৮ এ কি হয়েছে?ভারতের সমর্থনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে বিএনপিকে পরিকল্পিত ভাবে পরাজিত করেছে। অইটা তো রোল মডেল নির্বাচন না। তাই নাহিদ ও বলছে এ সরকারের শেষ এ একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যামে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তাই এখানে শেষদিকে তো দুজনের কথা এক দিকেই যাচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যা নির্বাচন।এ মতামত তর্কের মধ্যে  কোন সংকট নেই বরণ যৌক্তিক পথ খুজে পাওয়া যাবে।

সাজিদ

সম্পর্কিত বিষয়:

×