ছবি: ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রুহুল আমিনে
বরিশালের বাকেরগঞ্জে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রুহুল আমিনের (৩৪) বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৩১ বছর বয়সী এক নারী এ মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেন থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাহেবগঞ্জ মাদ্রাসা রোড এলাকার মোতাহার হাওলাদারের ছেলে। বাদী তারই প্রতিবেশী এক নারী।
মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রুহুল প্রতিবেশী হওয়ার কারণে তার সাথে সখ্যতা গড়তে চলাফেরার সুবাদে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মোবাইলে আলাপ-আলোচনা শুরু করে। কথা বলার এক একপর্যায়ে বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মাঝে ২০২৩ সালে বাদী বরিশাল ইউনিকেয়ার হেলথ এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নার্সিং কোর্স করাকালীন তিনি ও রুহুল আমিন বরিশাল কোতয়ালী থানাধীন ভাড়া বাসায় নিয়মিত স্বামী স্ত্রীর রূপে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এমনকি বরিশাল এবং কুয়াকাটার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতো রুহুল।
তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বাদী রুহুলের পরিবারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন অজুহাতে তারা তালবাহানা শুরু করে। সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় রুহুল বাদীকে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১১ জুন থেকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শারীরিকভাবে ভোগ করে ধর্ষণ করেছে।
গত ১৪ জানুয়ারি রাতে রুহুল বাকেরগঞ্জ পৌর শহরে বাদীর মায়ের ভাড়া বাসায় রাত্রিযাপন করতে গেলে তিনি আবারও তাকে বিয়ে ও কাবিন করার কথা বললে রুহুল সম্পর্কের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে বসেন। এমনকি বিয়ে ও কাবিন করার কথা বললে বাদীকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রুহুল।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে শ্রাবন্তী (ছদ্মনাম) নামের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অব্যাহত চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
সাজিদ