এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকে জাতীয় ট্রমার উৎস হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা গত ১৬ বছর ধরে শুধু আওয়ামী লীগের মতামত শুনেছি—শেখ হাসিনার কথা শুনেছি, গণভবনের নির্দেশ শুনেছি। এমনকি কালো কোট পরা পেঙ্গুইনদের একচেটিয়া মতামত ছাড়া ভিন্ন কিছু কানে আসেনি। ভিন্ন মত শুনলেই আমরা যেন আঁতকে উঠি।”
আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচনের প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “এর আগে ভাবতে হবে, আওয়ামী লীগ আদৌ একটি রাজনৈতিক দল কিনা! গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে মেনে নেওয়া কি আগামী দিনের গণতান্ত্রিক যাত্রার জন্য শোভন হবে কিনা সেটা ভাবনার বিষয়।
তিনি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পেছনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করেছে, তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।
১৯৭৯ সালে বিএনপি আওয়ামী লীগকে প্রথম পুনর্বাসন করে। তখন আওয়ামী লীগ ছিল চার টুকরো। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের মহানুভব আদর্শ থেকে প্রথমত তাদের নির্বাচন করতে দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন।
তৃতীয়ত এরশাদের মতো একজনকে সেনাপ্রধান করেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, অথচ তখন সেনাবাহিনীতে হাজারো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই তিনটি বড় রাজনৈতিক ভুলের জন্য বিএনপি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন,এই উদাহরণগুলো থেকে দেখেও যদি আগামীতে কোন রাজনৈতিক দল যদি রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ,সেই তাহলে সেই দলকে যেমন ভুগতে হবে একই সাথে ছয় কোটি জনসংখ্যা যারা ৩০-৩৫ বছরের নিচে তরুণ প্রজন্ম যারা রাজনীতিতে এসেছে ,২৪ এর গণঅভ্যুত্থান কে কেন্দ্র করে যারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে তারা রাজনৈতিকভাবে কঙ্কাল হয়ে যাবে।
সূত্র:https://www.youtube.com/watch?v=IffaL37R9D0
আফরোজা