ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের শিবসেনার সংসদ সদস্য সঞ্জয় রাউত সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশিদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত এবং এটি শেখ হাসিনাকে দিয়ে শুরু করা উচিত, যিনি একসময় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ সন্দেহ করছে, হামলাকারী একজন বাংলাদেশি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই সঞ্জয় রাউত বলেন, “যদি হামলাকারী বাংলাদেশি হন, তবে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায়িত্ব এবং এর জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশিদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া প্রয়োজন। তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং এটি মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল।”
১৬ জানুয়ারি বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক ব্যক্তি, যাকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করছে মুম্বাই পুলিশ। তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে বলে পুলিশের দাবি।
তবে শরিফুলের আইনজীবী এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে জানান, তিনি গত সাত বছর ধরে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন এবং বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার কোনো প্রমাণ পুলিশ দিতে পারেনি।
সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, বিজেপি বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় না বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দোহাই দিয়ে তাদের রক্ষা করে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি নেতারা একদিকে লাভ জিহাদের মতো অভিযোগ তোলে, আবার অন্যদিকে এমন ঘটনায় বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কুণ্ঠা বোধ করে।”
শিবসেনার এই এমপি সাইফ আলি খানের ছেলে তৈমুরের নাম নিয়েও বিজেপি নেতাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “তৈমুর এখন তাদের ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। অথচ আগে তার নাম নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হতো।”
পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুল ইসলাম চুরি করার উদ্দেশ্যে সাইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে তার আইনজীবী দাবি করেন, শরিফুল ভারতীয় নাগরিক এবং পুলিশের অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এই ঘটনা ঘিরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং অভিবাসীদের অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সায়মা ইসলাম