ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

‘লাল সন্ত্রাস ইস্যুতে যাদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী’

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:১৫, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

‘লাল সন্ত্রাস ইস্যুতে যাদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেছেন, লাল সন্ত্রাস একটা রেটরিক্যাল বক্তব্য, সেই রেটরিক্যাল বক্তব্যকে কতটা আমরা লিটারালি নিব এবং কতটা হুমকি হিসেবে দেখবো সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরেকটা অ্যাসপেক্ট হচ্ছে যে আমার যে সাংগঠনিক কাঠামো বা আমাদের যেসব সাংগঠনিক পরিসর আমরা যে ধরনের রাজনীতি লম্বা সময় ধরে ছাত্র ইউনিয়ন করেছি তার সাথে মোটেও আন্ডারগ্রাউন্ডের রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই বা ছিলও না। 

বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশোতে এসব কথা বলেন মাঈন আহমেদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রাজাকারের নাতি বলেছিল তখন আওয়ামী লীগের অনেকে ঠিক এই ব্যাখ্যাটাই দিতেন যে এটা উনি রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি রূপক অর্থে কিন্তু বলিনি আমি বলতেছি কনটেক্সচুয়ালাইজ করে দেখবেন এবং রেটরিক্যাল বক্তব্য কেন বলছি- কারণ হচ্ছে যে এটার তো এক প্রকার ডেফিনেশন উনি দিয়েছেন। এখন এই একই ধরনের ডেফিনেশন কি আমরা পিনাকি ভট্টাচার্যের কাছ থেকে পাইনি? যখন জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যেই ডিফেন্সিভ ভায়োলেশন বা জনগণের যেই রেভলিউশনারি ভায়োলেন্স যেটা উনি বলেছেন সেটার কথা উনি বলেছেন সেটাকে উনি রেভুলেশনারি ভায়োলেন্স হিসেবে ব্যাখ্যাও করেছেন। এখন কোন কনটেক্সটে মেঘ এখন আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বামপন্থী সংগঠনগুলো লম্বা সময় ধরে আদিবাসী গোষ্ঠীগুলার যেই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার তাদের সংস্কৃতি প্রিজারভেশনের যে অধিকার
সেটার জন্য লড়াই করে আসছিলাম।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হুট করে আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনটা দানা বাধতেছিল। তাদের উপর রীতিমত একটা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই যে হামলাগুলো হচ্ছে, তারপরে ক্যাম্পাসের ভেতরে পুলিশের জল কামান ঢুকলো সাউন্ড গ্রেনেড ঢুকলো ওই কনটেক্সে দাঁড়ায় মেঘ যখন বলছে যে আমাদের ডিফেন্সিভ ভায়োলেন্সটা আর কোন উপায় নাই তখন সেটাকে আপনি আসলে আক্রমণাত্মকভাবে কিভাবে দেখেন।’

তিনি বলেন, ‘এই বক্তব্যের কারণে আদিবাসীদের আন্দোলনের যে গোটা ফোকাসটা সেটা অন্যদিকে শিফট হয়েছে। একটা লোকের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গোটা যে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ছিল সবগুলোকে উদ্দেশ্য ভাবে এক প্রকার দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। একটা লোক একটা হার্মলেস লোক সে হসপিটালে বসে বসে একটা স্ট্যাটাস দিছে। হ্যাঁ, এমন একটা সংগঠন সে চালায় যে সংগঠনের মানুষজনের এভারেজ হাইট প্রবাবলি পাঁচ ফিট দুই এবং সে চলে গেলে এটা হয়ে যাবে চার ফিট নয়। এরকম একটা হার্মলেস অর্গানাইজেশনের নেতা ফেসবুকে বসে একটা রেটরিক্যাল স্ট্যাটাস দিছে সেটা নিয়ে আমি প্রাউডও না। কারণ, সেটা নিয়ে অনেক ক্ষতি হইছে আমাদের কন্টেম্পোরারি আন্দোলনগুলার যেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ছিল।’

মাঈন আহমেদ বলেন, ‘প্রত্যেকটা জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতির একটা বিষয় সামনে চলে আসছে। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে তার একটা স্ট্যাটাস অনেক ক্ষতি করে দিছে কিন্তু তার মানে এটা না যে এটা ইট ওয়াজ এ ক্রাইম। ইট ওয়াজ স্ট্রাটেজিক্যালি রং। যেহেতু মেঘমল্লার এটা উইথড্র করেছেন ফেসবুক থেকে সামাজিক যোগাযোগ পরবর্তীতে আবার উনি একটা স্ক্রিনশট রিপোস্ট করছে, তাহলে এই বক্তব্যে আপনারা অটুট আছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, এই বক্তব্যের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী আমাদের এলাইদের কাছে। যাদের যাদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেই ইস্যুগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ 

সূত্র: যমুনা টিভি। https://www.youtube.com/watch?v=OfF34XqiFSo

এম হাসান

×