বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নে মাইল ফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে শহীদ জিয়ার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
এমরান সালেহ প্রিন্স রবিবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় জিয়া জন্মোৎসবের দ্বিতীয় দিনে হালুয়াঘাটে দিনব্যাপী শহীদ জিয়ার ওপর রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ,শীতবস্ত্র বিতরণ , ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শহীদ জিয়ার প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।
হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ,দুপুরে ধারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ , বিকেলে হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ ,মহিলাদের ঘরোয়া খেলা ও শীতবস্ত্র বিতরণ ,সন্ধ্যায় হালুয়াঘাট উত্তর বাজারে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ।
এসব অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন শহীদ জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের মধ্যে অন্যতম। শহীদ জিয়ার পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে তিনি শক্ত হাতে দক্ষতা ও সফলতার সাথে সাথে সব সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফল রাজনীতিবীদ ও রাষ্ট্র নায়কে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর সফলতার মূল ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম,সততা,নিষ্ঠা এবং গণমুখী পদক্ষেপ ।তাঁর ওপর যখনই গুরুদায়িত্ব এসেছে,তখন তিনি দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এজন্যই তিনি সফল হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়ার মিডলইস্ট ডিপ্লোমেসি বা মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতির প্রধান উপাদান ছিল নিম গাছ। সৌদী আরবের মরু অঞ্চলে নিম গাছ রোপন করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছিলেন।মরু অঞ্চলে নিমগাছ রোপন করে তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। শহীদ জিয়ার নিম গাছ ডিপ্লোমেসি পরবর্তীতে সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বে কর্মসংস্থান ও ব্যাবসা বানিজ্য এবং সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ডুবন্ত দেশকে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার মহাসড়কে টেনে মূল ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তাঁর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শুধু দেশেই নয় , বহির্বিশ্বেও তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের পর দেশ এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে । সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জিয়াউর রহমানের মতো বিচক্ষণতা ,দক্ষতা,সততার সাথে কাজ করতে হবে। বার বার তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।তিনি বলেন, সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবাধ,নিরপেক্ষ,সুষ্ঠু,অংশগ্রহণ মূলক গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নাই। যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতের শাসন ফরিয়ে আনা যাবে,তত দ্রুত টেকসই সংস্কারের মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান হবে।শিক্ষক ,কর্মকর্তা,কর্মচারী,ছাত্র,ছাত্রীদের প্রতি দেশের পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃস্টি রেখে গণতন্ত্রে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এ কে এম ফজলুক হক ভূইয়া শহীদ জিয়ার স্মৃতি চারণ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যাক্তিত্ব,বিচক্ষনতা,দেশপ্রেম সম্মোহনী শক্তির মতো কাজ করে। কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে শহীদ জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ,আরফান আলী ,আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলী আশরাফ, আলমগীর আলম বিপ্লব ,বিএনপি নেতা অধ্যাপক মেহেবুবুর রহমান মুকুল,আব্দুল হাই,মোনায়েম হোসেন খান খোকন, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান , ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবদুল আজিজ খান প্রমুখ।
নুসরাত