ছবি: সংগৃহীত
ভারতকে যা দিয়েছি সেটি তারা সারাজীবন মনে রাখবে- উক্তিটি শেখ হাসিনার। একটি গণমাধ্যম থেকে প্রকাশিত সংবাদ বলছে বর্তমানে শেখ হাসিনা দিল্লির সমর্থনে দেশবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তার হাতে লেগে আছে হাজারো ছাত্রজনতার রক্ত।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ওই উক্তির প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অঙ্গন কূটনৈতিক মহল এবং প্রশাসনসহ জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে আশীর্বাদ পেতে শেখ হাসিনা ভারতকে কি কি দিয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটির অনুসন্ধান বলছে গত পনেরো বছর শেখ হাসিনা সরকার ভারতের অন্তত ২০টি চুক্তি ও ৬৬টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের অধিকাংশই একতরফাভাবে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে সম্পাদিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪১৫৬ কিমি সীমান্ত এলাকার মধ্যে ৩২৭১ কিমি এলাকাতেই ভারত অবৈধভাবে কাটাতারের বেড়া তৈরির কাজ শেষ করেছে। ভারত অত্যন্ত গোপনে ২০১০ সালে শুরু করে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত বেড়া নির্মাণের কাজ করে।
সীমান্ত ইস্যুতে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিতে শেখ হাসিনা চারটি চুক্তি করেছিলেন বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০৯ সালে হাসিনা সরকারের সময় ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ বিভাগ সূত্র বলছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার বিনিময়ে কোনো ধরনের শুল্ক বা ট্যারিফ আরোপের বিষয়টি চুক্তির ঘোষণায় উল্লেখ করেনি। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১০ সালে চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে আরো একটি প্রটোকল হয়। ট্রানজিট আদায় করে নেয়ার পর ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধা পায়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে পৌছানো বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ভেতর দিয়ে সড়ক রেল ও জলপথে আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরা তামাবিল হয়ে মেঘালয় ও সুতারকান্দি হয়ে আসামে এবং বিবিরবাজার হয়ে সীমান্তপুর আসামে আনা নেয়া করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অভিন্ন রদী তিস্তার কয়েকটি স্থানে বাধ নির্মাণ করে ভারত। একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে চলেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে পানির ন্যায্য হিস্যা চাইলেও দেয়নি ভারত। উল্টো বাংলাদেশের নিজস্ব নদী ফেনীর পানি চেয়ে বসে ভারত।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদশে ভারতকে ১৮২ কিউসেক পানি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এদিকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭১৬০৮১ মিলিয়ন ডলার।
এমন বাণিজ্য ঘাটতি বিশ্বে বিরল ঘটনা বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে বাংলাদেশ ভারতের একটি উন্মুক্ত বাজারে পরিণত হয়েছিল।
এসইউ