ছবি : সংগৃহীত
ইমরানের এইচ সরকারের সম্প্রতি এক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি ব্যক্তিগত ফেসবুকে উল্লেখ করে পোস্ট করেন, “মূল সংগঠন- জামায়াত ইসলামী, যুব সংগঠন- জাতীয় ও নাগরিক কমিটি, ছাত্র সংগঠন- শিবির ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ক্লিয়ার?”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জামায়াত ইসলামী’র সহযোগী সংগঠনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমরানের সরকার বলেন, জামায়াত ইসলামী একটি মূল সংগঠন হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এবং তাদের যুব সংগঠন, জাতীয় নাগরিক কমিটি তরুণদের মধ্যে এক নতুন রাজনৈতিক ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া ছাত্র সংগঠন শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ড নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, সংগঠনগুলো দেশের যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করছে এবং তাদের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমন মন্তব্যের পর বিভিন্ন পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইমরানের এই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন, আবার কিছু নেতৃবৃন্দ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন এক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশের তরুণ সমাজের ভূমিকা কি হবে এবং তারা কিভাবে এ ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা গ্রহণ করবে, তা এখন দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, ইমরানের এইচ সরকার সাধারণ একজন নাগরিক। ২০১৩ সালে যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠলে, সেটির মুখপাত্র হন পেশায় চিকিৎসক ইমরান। এরপর পার হয়ে গেছে দেড় দশক।
মো. মহিউদ্দিন