ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত তার চিরশত্রু পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য, পাকিস্তানকে ভাঙার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। শুক্রুবার (১৭ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে এক ভাষণে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধের সম্পর্ক চাইনা, একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্ত দুঃখজনক, একটা বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও ভারতের মন মানসিকতা সে রকম উদার নয়। তারা বলতে পারে ৭১ এ আমাদের সহযোগিতা করেছে আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্ত এটাও সত্য ৭১ এ শুধু আমাদের সুবিধার জন্য ভারত সাহায্য করে নাই। ভারত তার চিরশত্রু পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য, ভাঙার জন্য বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। তারপরেও আমরা ভারতকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি না।
কিন্ত স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন শোষণ নীতির ফলে এই দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। ফেলানিরা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ভারতের প্রতি আমাদের পরিষ্কার বার্তা, আপনারা হাটু সমান পানিতে নামবেন আমরা কোমর সমান নামবো আপনাদের জন্য। কিন্ত আমাদের সাথে বৈরি আচরণ করলে আমাদের থেকেও একই আচরণ ফেরত পাবেন।
নুর আরো বলেন, তরুণরা বুকের রক্ত দিয়ে, জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে। আপোষহীনভাবে রাজপথে থেকেছে, তাদের মধ্যে যে সততা, তাদের মধ্যে যে দেশপ্রেম তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখেন। দেশের চেহারা বদলে যাবে। তরুণদের ভিতর অসততা, ছলচাতুরী এই জিনিসগুলো নাই। যেই কারণে গণঅধিকার পরিষদকে আমরা তারুণ্যের রাজনীতি নিয়ে সারা বাংলাদেশে আসছি। আগামী নির্বাচনে আমরা কারো ঘারে উঠে এমপি-মন্ত্রী হবার রাজনীতি করবো না। মানুষের কাছে বিকল্প রাজনীতি হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরব। মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য সারাদেশে গনঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে।
কুড়িগ্রামের এই পিছিয়ে পড়া অঞ্চল, আমি আপনাদের কথা দিতে পারি, আমরা যদি এই জায়গা থেকে এমপি হতে পারি, আমাদের নিজস্ব অর্থ ও প্রজেক্ট পরিকল্পনা দিয়ে হলেও এই একটা জেলাকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলে আমরা দেখিয়ে দিব কীভাবে পিছিয়ে পরা অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে হয়। আমি ঘোষণা দিলাম সেই পাইলট প্রজেক্ট হবে এই কুড়িগ্রামে। আমার বাড়ি বরিশালের পটুয়াখালীতে কিন্ত আমি বলি নাই ওই জেলায় করব। কিন্ত এই কুড়িগ্রামকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম পিছিয়ে পড়া অঞ্চলকে এগিয়ে নিব।
রিফাত