ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

বাকশাল করতে গিয়ে শেখ মুজিবকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২৩:০৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বাকশাল করতে গিয়ে শেখ মুজিবকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, স্বাধীনতার পর নানা কর্মকান্ডের সাথে বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিল। তাই পঁচাত্তরের পনের আগষ্ট শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এজন্যই শেখ হাসিনা কেন তার বাবা খুন হলো, হত্যা হলো। সেজন্য সে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল।

তিনি বলেন, পচাঁত্তরের পনের আগস্টের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা সাক্ষাতকারে বলেছিল যে দেশের মানুষ তার বাবাকে হত্যা করেছে, সেই দেশের মানুষের কাছ থেকে সে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। 

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় পটুয়াখালী ঝাউতলার শহীদ মিনার প্রাঙ্গন মাঠে খেলাফত মজলিস পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদসহ  স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এ সময় তিনি আরও বলেন,  শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ৫০ বছর রাজনীতি করেছে। দেশের মানুষের প্রতি প্রতিশোধের রাজনীতি করেছে। সে বিশ্বাস করেছে তার বাবাকে খুন করার পর এদেশের মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেছে। তাই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ছিল তার প্রতিহিংসা এবং ক্ষোভ।

মামুনুল হক বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষেরই নয়, বরং শেখ হাসিনার রাজনীতিকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সে শুধু দেশের জনগণের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেয়নি। সে প্রতিশোধ নিয়েছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকেও। কারণ আওয়ামী লীগের প্রতিও শেখ হাসিনার চরম ক্ষোভ ছিল। সে ক্ষোভ করে বলেছিল ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার বাবার লাশ পরেছিল দিনের পর দিন। এত বড় দল, লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী, কেউই এগিয়ে আসেনি। এই জন্যই শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিল।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, কেমন করে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিল। এই দেশে আর কোন দিন কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে না পারে। লক্ষ্য করে দেখেন। বাংলাদেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেন, অনেক দল অনেক শাসক জনগনের আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ছিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। কারাগার বরণ করেছে কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় নাই।

বেগম খালেদা জিয়া একবার ৯৬ সালে তার পতন ঘটেছে। আর একবার ২০০৬ সালে তার পতন ঘটেছে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দ্বিত্বকে বরণ করেছে। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় নাই। শেখ হাসিনা কাজটা করল কি? সে ৫ই আগস্টের দুই দিন আগেও বলেছিল শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু সে নেতা-কর্মীকে ছেড়ে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেলো। এটা শুধু আওয়ামী লীগের কাছ থেকে শুধু প্রতিশোধ নেয় নাই। দেশের জনগণের কাছ থেকেও প্রতিশোধ নিয়েছে। 

ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গনহত্যার বিচারের দাবী এবং নৈরাজ্যের প্রতিরোধে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগ এই গণসমাবেশ শুরু হয় বিকেল তিনটার দিকে।

আশিক

×