ছবি: সংগৃহীত
জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, "আমরা যারা বর্তমানে জামায়াতের নেতৃত্বে আছি, তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, এবং পাকিস্তানের পক্ষে আমরা কখনো অংশগ্রহণ করিনি। তাই এটি আমাদের জন্য একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক একটি ইস্যু।"
তিনি আরও বলেন, "যারা জামায়াতে সিনিয়র নেতা ছিলেন, তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, এবং তাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। তারা দাবি করেছেন, 'পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। আমরা ৪৮ সালে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি।' সুতরাং, তারা এক স্বাধীন দেশের পক্ষে ছিলেন। তবে, পাকিস্তানের শাসকরা মানুষের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার করেছে, তার বিরোধিতাও আমরা করেছি। আমরা কোন রাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলাম না, বরং আমরা স্বাধীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম।"
এমনকি, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের উদাহরণও তুলে ধরেন: "যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষরা যদি আজ স্বাধীনতা চায়, এবং কেউ যদি বলে তারা বাংলাদেশে থাকবেন, তাহলে কি তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে চলে যাবেন?"
নায়েবে আমির আরও বলেন তারা বলেছেন যে, "১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর এক সেকেন্ডের জন্যও আমরা বাংলাদেশের বিরোধিতা করিনি। আমরা মেনে নিয়েছি যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ এবং এর জন্য আমাদের লড়াইও করতে হবে।"
তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগ করেন, "পাকিস্তানি শাসকরা যে পরিমাণ অত্যাচার ও জুলুম করেছে, জামায়াতে ইসলামী সদস্যদের উচিত ছিল এসবের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হওয়া। তাদের ভুল হয়েছিল, এবং তারা এই বিষয়টি স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে।"
নুসরাত