গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে হামলা ও লুটপাট চালায়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য টাইমস গণভবনে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে সেখানে বিভিন্ন বস্তু ও দলিলের মধ্যে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচারপত্র খুঁজে পায়।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এতদিন। কিন্ত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আর্থিক অনিয়মের সাথে টিউলিপ সিদ্দিকের যোগসূত্র রয়েছে। এমন অভিযোগে তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। যুক্তরাজ্যে তার ও তার পরিবারের একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানা এবং তা হাসিনার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তিনি তার খালার শাসন থেকে বারবার নিজেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করেছেন, তবে গণভবনে পাওয়া এই দলিল ও বস্তু তার ওপর নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গণভবনে পাওয়া একটি নোটে এক ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের আইনি পরামর্শের কথা উল্লেখ ছিল, যেখানে হাসিনার শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বন্ধের কৌশল তুলে ধরা হয়। পাশেই ছিল বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন ফরম।
গণভবনের সিঁড়ির ওপরের অংশে টিউলিপ সিদ্দিকের ধন্যবাদপত্র ও বার্ষিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই ধন্যবাদপত্র তিনি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় লেবার পার্টি সদস্যদের উদ্দেশে পাঠান। তার বার্ষিক প্রতিবেদনে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের শিকার মানুষের সাহায্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এর আগেও টিউলিপ বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০১৭ সালে এক ব্রিটিশ সাংবাদিক তার খালার শাসনামলে গুম হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন।
রিফাত