ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সীমান্তে উত্তেজনা: নতুন পরীক্ষার মুখে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৯:৩৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

সীমান্তে উত্তেজনা: নতুন পরীক্ষার মুখে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তের কিছু স্থানে অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

রবিবার ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায়। পাল্টা জবাবে, সোমবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করে নয়াদিল্লি। এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, "বিএসএফের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের পরিপন্থী। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ও প্রাচীর নির্মাণের মতো ঘটনা বন্ধ করা উচিত।"

তিনি আরও জানান, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতি উভয় দেশের সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অংশে ২২০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা পড়ে। তবে, এই অংশের ২০ শতাংশ জায়গায় এখনো কোনো প্রাচীর নেই। বিএসএফের দাবি, এই অংশগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রাচীর নির্মাণ অত্যাবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশ এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।

নয়াদিল্লি থেকে জানা গেছে, বিএসএফের কার্যক্রমকে তারা "নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পদক্ষেপ" হিসেবে অভিহিত করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখাই।"

সীমান্ত হত্যা, অনুপ্রবেশ, এবং প্রাচীর নির্মাণ ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। যদিও উভয় দেশ বিভিন্ন চুক্তি ও আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছে, তবুও এ ধরনের ঘটনা সেই প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে। উভয় পক্ষের উচিত আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসন করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

 

সুত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=KB3zqQy-OZc&ab_channel=EkattorTV

জেআই

×