লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎধীন খালেদা জিয়া ‘অনেকটা বেটার’ আছেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লন্ডনে চিকিতসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে দলের মহাসচিব একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ আপনারাও পত্র-পত্রিকায় খবর দিচ্ছেন….আমরা খবর নিয়েছি… উনি(বেগম খালেদা জিয়া) মানসিক দিক দিয়ে, শারীরিক দিক দিয়ে… আলহামদুলিল্লাহ আগের চাইতে অনেকটা বেটার(ভালো)।”
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে ডেভেনশায়ার প্লেসে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। সেখানে লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে লন্ডনে নিয়ে যেতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি নিজের রাজকীয় এয়ার লাইন্সের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠান.. সেই বিমানে খালেদা জিয়া লন্ডন যান।
লন্ডনে তার সাথে যাওয়া ৬ সদস্যের চিকিতসক টিমের সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, লন্ডন ক্লিনিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। সেখানকার চিকিৎসকরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসকদের সাথে বসে খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন রোগের হিস্ট্রি জেনেছেন এবং সেসব চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ ম্যাডাম আগের চেয়ে ভালো আছেন। রুটিন বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো এখানকার ডাক্তাররা করছেন। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তার রিপোর্টের ফলাফল দেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এখানে উনার চিকিৎসার ধরণে কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে।”
তিনি জানান, লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসা থেকে রান্না করা খাবার খাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যায় এই খাবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান নিজে।
খালেদা জিয়া তার দুই ছেলের তিন মেয়ে(তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান) সার্বক্ষনিক নানীর সাথে সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান জাহিদ।
‘‘ ম্যাডাম নাতনিদের দীর্ঘদিন পর পাশে পেয়ে মানসিকভাবে খুবই খুশি, উৎফুল্ল বোধ করছেন।”
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে একটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন, ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে।
মহি