ছবি : সংগৃহীত
গাইবান্ধা-৩ আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অরজিনা পারভীন চাঁদনী ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত করান। তার রাজনৈতিক পরিচয় দ্রুত বদলে গিয়ে সম্প্রতি তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতির হয়ে যান। তবে তার এই পদপ্রাপ্তি ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
অরজিনা এখন দাবি করছেন, তিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান। তার বাবা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ, কিছুদিন আগেই তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হিসেবে দাবি করেছিলেন।
অরজিনা ছাড়াও কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাছিমা বেগমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কর্মী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা এই কমিটিকে মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মণ্ডলের একটি কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ব্যবসা করতে গেলে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। এই কথোপকথন থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদনীকে পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত প্রভাব খাটানো হয়েছে।
তীব্র সমালোচনার পর গাইবান্ধা জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন শোভা বিতর্কিত এই কমিটি বিলুপ্ত করেছেন। তবে তিনি কিংবা আব্দুস সালাম মণ্ডল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
বিএনপির অভ্যন্তরে এমন অনুপ্রবেশ ও বিতর্ক দলটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা শিগগিরই একটি সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রিফাত