ছবি - জনকণ্ঠ
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি আপনাদের সবার সামনে ওয়াদা করতে চাই আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি একমাত্র জনগণের কল্যাণে হবে দেশের কল্যানে হবে অন্য কোন কিছু আমরা সুযোগ দেবো না। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ কেউ যদি অপকর্ম করে থাকে তাহলে সেটাকে আমরা গ্রহণ করবো না। আমাদের দলের নাম ব্যবহার করে দুই একটি অপকর্ম করে থাকলেও সেটার দায়ভার কিন্তু আমরা নেবোনা।
কারণ সেটার আমাদের উপর আসে না কারণ আমরা কি সরকারে আছি আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছে যে আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো। এটার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারের। যে কারো নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে এটা নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। কারণ এটার জন্য সরকারকেই দায়ভার নিতে হবে। আমাদের নেতার বক্তব্য বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে সেটাকে আমরা গ্রহণ করব না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করবো এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি। আগামী দিনে সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানী পুরান ঢাকায় সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঐক্যের প্রতীক গণতন্ত্রের প্রতীক শান্তির প্রতীক এবং এই উপমহাদেশে অন্যতম একজন নেত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ উনি গনতন্ত্রের বিষয়ে কোন ধরনের আপোষ করেননি। তিনি আপস করেননি দেখেই উনাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছে। উনাকে সুচিকিৎসা সময়মত দেওয়া হয়নি যার কারণে তার শারীরিক অবস্থা আরও সংকটা পন্য হয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহতালার কি খেলা দেখেন আমাদের নেত্রী এখন সুচিকিৎসা নিচ্ছেন ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিবেন।
আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অসহায় ও দুস্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন সেখানে আমার পিতা মরহুম সাদেক হোসেন খোকাও বিভিন্ন সময় ছিলেন। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে কিন্তু আজকে আমরা যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড রয়েছে সেটি করে চলেছি।
আমরা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করবো রাজনীতি করতে চাই এবং আমাদের লক্ষ্য একটাই সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ যাতে ভালো থাকে। এই দেশে যে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী রয়েছে সেই জায়গায় থেকে আগামী দিনে এর যেন উত্তরোন ঘটে বাংলাদেশ যাতে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হয় তার জন্য আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার খুনী ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন সময় রিলিফ এর যে সামগ্রী বিশেষ করে করোনা সময় সেটা তাদের নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ির খাটের তলায় পাওয়া গিয়েছিল।সেটা জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। আর আমরা যতদিন বিরোধী দলে ছিলাম তখন সরকারি কোন অনুদান পাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। আমরা নিজ থেকে উদ্যোগ নিয়ে জনগণের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির পার্থক্যটা বুঝে নিতে হবে। আমরা জনগণের পাশে আছি জনগণের জন্য রাজনীতি করি যার কারণে যত বিপদ আপদ ঝড় তুফান গিয়েছে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়নি। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম বরং আপনারা আমাদের বিভিন্ন সময় আশ্রয় দিয়েছেন বাসা বাড়িতে। আপনাদের অধিকার নিয়ে যখন লড়াই করেছি ঠিক তখনই খুনি হাসিনা হায়না বাহিনী আমাদের উপর হামলা করেছে। আপনার আমাদের পাশে ছিলেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন।
তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হয়ে বলতে চাই আর কোন দিন যাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম না হয়। সেটা যে কোন নামে বা দলের মাধ্যমে।
ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র থাকবে এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে পাঁচ বছর পর পর জনগণ ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত করবে এবং সরকারে পাঠাবে তাহলে এত দুর্নীতি গুম,খুন যাই হয়েছে কোন কিছুই হত না। কারণ তখন জনগণের কাছে জবাবদিহি আওতায় থাকতে হতো। ভোটের জন্য প্রতি পাঁচ বছর পর পর জনগণের কাছে যেতে হত।
তিনি বলেন, আমরা এখন আশা রাখি আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান যে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি লন্ডনে বসে থেকে অনুপ্রাণিত করেছেন সেটি দেখে কিন্তু সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ অনুপ্রেরণা নিয়ে স্বৈরাচারকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে এবং আগামী দিনে আমাদের যে ঘোষিত ৩১ দফার কর্মসূচি সেই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পার্মানেন্টলি প্রতিষ্ঠা পাবে এবং জনগণের কল্যাণে যা যা করনীয় সকল কিছু করা হবে। জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় জনগণের কথা বলার অধিকার থাকে বেঁচে থাকার অধিকার থাকে আপনাদের ছেলে মেয়েরা যাতে ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা হয় আপনাদের যাতে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় এই ধরনের সেবাগুলো যাতে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সেটার লক্ষ্যে আগামী দিনে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদি দল আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে সে কাজগুলো করা হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানটিকে সফল ও সার্থক করে তুলতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের যেসব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন- কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হায়দার আলী বাবলা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ৩৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন সোবহান, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার, ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক হাজী আফজাল হোসেন লিটন, সদস্য সচিব রুবেল হাওলাদার, কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকাশ মাহমুদ, কোতোয়ালি থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব মামুন, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কিরণ, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহিদ জামাল, কোতোয়ালি থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব আপন, কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের সভাপতি দ্বীন ইসলাম প্রমুখ।
মনিষা মিম