ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষে নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ে জিয়াউর রহমানের পরিচয় বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইটির ৭৩ নম্বর পৃষ্ঠায় গণতন্ত্র, রাজনৈতিক দল, ও নির্বাচন অধ্যায়ে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে তার দাবি।
রিজভী বলেন, “বইটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘সাবেক সেনাপ্রধান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু তার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির পরিচয় উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরে মিডিয়া এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যবহার করে বিরামহীন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। রিজভীর মতে, পাঠ্যপুস্তকে এসব তথ্য সন্নিবেশিত করার মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মগজধোলাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়া, রিজভী অভিযোগ করেন, নতুন বইয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অতীত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে নীরবতা পালন করা হলেও তাদের মূল দলকে প্রশংসিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পাঠ্যবই সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইতিহাসের নিরপেক্ষ ও সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।”
অন্যদিকে, রিজভী দেশের সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভ্যাট বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনজীবনে অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত করছে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “জনগণের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা জনগণের ক্ষোভ যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/PT-C2ImgDRk?si=EEsZkrOU3cYrx7Ib
এম.কে.