ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ঘোষণা দিতে পারেন। এর আগে তিনি ভার্চুয়ালি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষমতা হারানোর পর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এটি হবে তার প্রথম সরাসরি যোগাযোগ।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা জেলহাজতে বা আত্মগোপনে থাকায় দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে সিনিয়র নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আশাবাদ প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গভাবে দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন মনে করেন, শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগ দলকে টিকিয়ে রাখার একটি কৌশল হতে পারে। তিনি বলেন, বৈঠকটি হলে দেখতে হবে শেখ হাসিনা কী বার্তা দেন—দেশে ফেরার ঘোষণা নাকি নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করলেও ভারত তাকে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের অনুমতি দিয়েছে।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাব্য ঘোষণায় তার সমর্থকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।
তাবিব