ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়নি

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়নি

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী

বক্তব্য নিয়ে কিছু অস্বস্তি থাকলেও বিএনপি এবং জামাতের মাঝে এখনও রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়নি বলে দাবি দলের নেতাদেরই। তবে অস্বস্তি বা ভুল বোঝাবুঝি হয় এমন বক্তব্য না দেওয়াই ভালো বলে মনে করেন তারা৷ আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামেও একসঙ্গে মাঠে থাকার আশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি এবং জামাত নেতারা। 

আওয়ামী লীগ সরকারের দমন পীড়ন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসাথে আন্দোলন করলেও ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বক্তব্যে কিছু অমিল দূরত্বের কিছু ইঙ্গিত। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক পথ চলায় বিভেদ তৈরি হবে এমন চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনও আসেনি বলে মনে করেন দুই দলের নেতারা।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এমন কোনও দূরত্বের কিছু নাই। তারা গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। তারাও মানুষের অধিকারের কথা বলে আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ কখনও বলে আর কি শুধু তারা দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবে। আমরা তো বলব কথাটা ঠিক নয়, আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তার পরে যদি বলা হয় শুধু আপনি দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাকে বাদ দিলেন আপনি। এটা তো কষ্ট লাগার কথা। আমরা আশা করব যে এ রকম কথা কেউ না বলুক।’

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘অনেক কথা আপনার বা আমার আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। আমার কাজ আপনার পছন্দ হতে পারে আবার আপনার কথা ও কাজ আমার পছন্দ নাও হতে পারে। প্রকাশের দিক থেকে আপনি কতটুকু প্রকাশ করবেন? কতটুকু আপনি এপ্রোচ করবেন, কতটুকু হজম করবেন, রাজনীতিতে একটা বেটার মানসিকতা লাগে। আপনি আজ যার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তার সাথে তো আপনার অতিতে বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুত্ব কীভাবে রাতারাতি শেষ হয়ে যায়? সেজন্য আমার মনে হয় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এমন কোনও বক্তব্য, এমন অবস্থা প্রকাশ করা ঠিক নয়, যেটা রাজনৈতিক দলের নেতার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।’

জোটবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করলেও যুগপথ আন্দোলনে একসাথে ছিল না বিএনপি জামায়াত। তার পরেও সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে তেমন ভিন্নতা ছিল না দাবি করে দুই নেতাই মনে করেন দল আলাদা, কিছুটা ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যুগপথ আন্দোলনে আমাদের সব কর্মসূচি আজ আমাদের সব কর্মসূচি এক রকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। আমরা আশা করবো আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্টার আন্দোলনের সবাই একসঙ্গে থাকবো।’

জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নেওয়ার এখন একটা উপযুক্ত সময়। সেখানে ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায় নেই। আপনি আপনার আদর্শ বা মত তুলে ধরবেন, আমি আমারটা তুলে ধরবো। তারপর জনগণ সেটা বিচার করবে যে কোনটা সঠিক।’ 

এদিকে, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে টানাপোড়ন তৈরি হলেও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেটা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন নেতারা।  

সূত্র: বাংলাভিশন। https://www.youtube.com/watch?v=naiKMtmnVG4

এম হাসান

×