আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তবে, আমাদের সহায়তা নিয়ে যদি সরকার সত্যিকার অর্থে যারা বিপ্লব এবং অভ্যর্থনায় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কীভাবে এই সরকার বিচার বিভাগের সংস্কার করবে—এমন প্রশ্ন আমাদের মনে জাগছে।
আমরা জানতে চাই, যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে যারা জামিন পেয়েছে, তাদের জামিন কীভাবে হলো এবং এর পেছনে কোন শক্তিশালী মহল বা ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন কি না। ইতিমধ্যে দেখা গেছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র জনাব সার্জিসের নাম এই ঘটনায় এসেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নাকি একটি কর্মসূচি বানচাল করতে ইন্ধন যুগিয়েছেন। এই অভিযোগ জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আয়োজকদের পক্ষ থেকে উঠেছে।
ফারুক হাসানের উপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তারা আহত হওয়ার দাবি তুলেছে। কিন্তু আমরা মনে করি, তারা আসলে "আহত লীগ"। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
আমরা জানতে চাই, কেন সেই দুই আসামিকে জামিন দেওয়া হলো এবং বাকি আসামিদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। শাহবাগ থানায় করা মামলার পরেও এই ধীরগতি এবং অপরাধীদের জামিনের ঘটনায় সরকারের অভ্যন্তরে কোনো পক্ষ বা গোষ্ঠীর ভূমিকা রয়েছে কি না, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখতে বলছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র বিষয়ক দুই উপদেষ্টা—জনাব আসিফ মাহমুদ ও শারমিন মুর্শিদ—যারা আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন, তাদের সঙ্গেও আমরা এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কীভাবে এই আসামিরা জামিন পেল। এতে প্রমাণিত হয় যে, সরকারের ভেতরে একাধিক পক্ষ কাজ করছে। এক পক্ষ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে, আরেক পক্ষ জামিন নিশ্চিত করছে।
আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এর সব প্রশ্নের জবাব চাই। একই সঙ্গে, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
রাজু