ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি নাকি রাজনৈতিক দলের মধ্যে তাড়াহুড়ো!

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১০ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:১৯, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি নাকি রাজনৈতিক দলের মধ্যে তাড়াহুড়ো!

বিএনপি নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপি নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৭ বছর ধরে চলা আন্দোলনের ফল এই নতুন বাংলাদেশ। তার মতে, শুধুমাত্র একটি নির্বাচন নয়, বরং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ সামগ্রিক পরিবর্তন দেশের জন্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারকে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, বিচার বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর "ব্যক্তিগত সম্পত্তি"তে পরিণত হয়েছিল, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে।


নেতৃবৃন্দের মতে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা সময় ও বাস্তবতার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু সংস্কার এখনই করা সম্ভব, তবে কিছু বিষয় সংসদে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার এই ধরনের গভীর সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, দেশের বর্তমান সরকার সবাইকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের ব্যর্থতা দেশের জন্য আরও সংকট ডেকে আনবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। তারা আশা করেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের পর রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। তবে সেই আশার প্রতিফলন তারা এখনো পাননি।

বরং কিছু উপদেষ্টার কাছ থেকে বিরোধী বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। যেমন, "৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার করত, তাহলে আমাদের করতে হতো না।" এই ধরনের মন্তব্যকে নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন এবং মনে করছেন, এগুলো আওয়ামী লীগকে আড়াল করতেই বলা হচ্ছে।

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যের প্রয়োজন। বর্তমানে দেশের পরিবর্তন মেনে নিতে না পারা দেশি-বিদেশি চক্রগুলোর ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক করে প্রিন্স বলেন, এই স্পর্শকাতর সময়ে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ঐক্যের অভাব আরও প্রকট হবে। দ্রুত নির্বাচন হলে অনেক সমস্যা সমাধান হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

২০১৬ সাল থেকে সংস্কারের কথা বলে আসছেন তারা। তাদের এই প্রতিশ্রুতি "রক্তমাখা কমিটমেন্ট" এবং এখান থেকে তারা কখনো পিছু হটবেন না।

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিতে। কারণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই দেশের সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।

 

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/14ppEHNbSa/

×