সারজিস আলম
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আগামীর নতুন বাংলাদেশে আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম রয়েছি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি কোন অপশক্তি আমাদেরকে আটকে রাখতে পারবেনা। তিনি বলেন,আজকে যখন আমরা চিন্তা করছি; যেই অভূত্থানে যে গতিকে সামনে রেখে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, যে স্বপ্ন গুলো আমরা এখনো ধারন করি বাংলাদেশকে নিয়ে, সে স্বপ্নগুলো একটি ঘোষণা পত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু কোন কথাগুলো ঘোষনা পত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন, সেগুলো যেন কয়েকজনের কথায় না হয়। সেগুলো যেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার ও থানার প্রতিটি শ্রেনীর মানুষের কথা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি এই অভূথ্যানে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ্যভাবে এ দেশের ফ্যাসিস্ট বিরোধী সকল দলের, মতের, ধর্মের, বয়সের ও শ্রেনীর মানুষ একসাথে লড়াই করেছি। তাই এটা আমাদের দ্বায়বদ্ধতা। এ দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে গিয়ে সেই জেলার সাধারণ মানুষের কথা শোনা এবং সে অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশের কাজ গুলো করা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোতে এখনো দালালি ও চাঁদাবাজি হয়। হোক সেটা কেউ পোশাক পড়ে করুক, কেউ সাধারণ পোশাকে করুক তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সক্রিয় হওয়ার জন্য আহবান জানান। আমার এই ভোলার সহযোদ্ধা ভাইরা আমাদের বলেছেন, যারা আমার জসিম ভাই সহ অসংখ্য ভাইকে রক্তাক্ত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওই সময়ের যে এসপি, তার সাথের অফিসার, কনস্টেবলরা আমার ভাইদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তাদের শাস্তি যেন শুধু বদলি না হয়।
এই অভূথ্যানে যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে তাদের যেন স্বীকৃতি দেয়া হয়। যেই ভোলায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেই ভোলার মানুষ কেন গ্যাস পাবে না। যেই ভোলা থেকে একজন রোগী লঞ্চ-স্পিডবোটে, ফেরিতে থাকে সেখানে তাকে মারা যতেত হয়, সেই ভোলায় কেন মেডিকেল কলেজ হবে না বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন। ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন সহ ভোলার গ্যাস সিন্ডিকেট করে শুধু মাত্র ব্যবসা করার জন্য রক্তচোষার মতো কেউ নিয়ে যেতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় পথসভায়, জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখপাত্র শারমিন,কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল ফয়সাল,ভোলা জেলা সমন্বয়কদের মধ্যে মোঃ ইসরাফিল হোসেন জাবির,ইসরাত জাহান আলভি সহ জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে সারজিস আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ভোলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিন এর পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সহানুভূতি জানান। এছাড়াও জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। পরে ভোলা বাংলা স্কুল মোড় সদর রোড, নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণা পত্রে ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
রিফাত