বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে ওঠার মধ্যেও ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপি’র এক আলোচনায় উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য। এসব বক্তব্যে বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনোভাবেই অবমূল্যায়নের শিকার হতে পারে না। এটি আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি। কেউ যদি এটিকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের চেষ্টা করেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছেন, তারাও আজ স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাদের পূর্ব ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নতুন করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। আমাদের পূর্ববর্তী নেতারা যেভাবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, সেভাবেই আজ আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমানে বিএনপিকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ সময়ে জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। আমরা বিএনপি’র পক্ষ থেকে বারবার তাদের সহযোগিতা করেছি, তবু স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের অযাচিত মন্তব্য কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।”
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, “বিগত সরকার ধারাবাহিক কারচুপির মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। আমরা এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছি, কারণ নির্বাচনের নামে দুর্বৃত্তদের ক্ষমতায় বসানো হচ্ছে। নতুন গঠিত কিংস পার্টি আবারও এসব দুর্বৃত্তদের দলে টানার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
ভারতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন মেজর (অব.) হাফিজ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ প্রবাসে থাকার পর যখন তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো, তখন আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখা কঠিন হবে।”
এই বক্তব্যে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমি স্পষ্ট হয়েছে। বিএনপি নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, স্বাধীনতার চেতনায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির যে কোনো প্রচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।
রিফাত