বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করার মুহূর্ত যে কতটা আবেগপূর্ণ হতে পারে, তার এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে রইলেন খালেদা জিয়া যখন তার পরিবারের সাথে মিলিত হলেন লন্ডনে। সেই সাথে উচ্ছ্বসিত দলের নেতা কর্মীরাও। লন্ডনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের একজন নেতা জানান, নেত্রী এখন অনেক ফুরফুরে মেজাজে আছে, তার নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান রাতভর তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তারেক রহমান ও তার পরিবার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
নেত্রীর এই পুনর্মিলনের মুহূর্ত ছিল গভীর আনন্দে ভরা। এমনকি বিমানবন্দরে প্রথম দেখা হওয়ার পরই তিনি আনন্দে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মা ও ছেলের মধ্যে যে ভালবাসা থাকে এবং সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহ ও সান্নিধ্য, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই মধুর মুহূর্তটি যেন সব প্রবাসী বাংলাদেশি ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নেত্রী ও তার পরিবারের দেশে ফেরার। তারা বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জনগণের যে আশা ও প্রত্যাশা, তা অচিরেই পূরণ হবে।
এই নেতা আরো জানান, বিএনপি পরিবারের মেম্বার হিসেবে এখন আমাদের একটাই অনুরোধ; দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। তাই আমরা আশা করছি, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে, যা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
বিএনপি’র বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে, তা বৃথা যেতে পারে না। প্রায় তিন হাজার প্রাণের আত্মত্যাগ, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন, এবং দেশের মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
দেশের মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে নেত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য। বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী মানুষ মনে করে, তাদের নেত্রী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের মানুষের অধিকার ও প্রত্যাশা পূরণে করতে পারবে।
গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, এবং দেশের প্রতি ন্যায্যতার দায়িত্ব পালন—এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
রিফাত