বিএনপি সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, যদি দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করতে সক্ষম হয়, তাহলে বাংলাদেশে আর কোনোদিন দ্বিতীয় হাসিনা তৈরি হবে না। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত একটি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা হয়তো নির্বাচন করতে পারবেন, তবে মসনদে এক বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। এবং তার সেই পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, "৭ মাসও তিনি টিকতে পারেননি। গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে উড়াল দেওয়ার পর আর ফিরে আসতে পারেননি" । এর মাধ্যমে রুমিন সরকার পতনের দিকে ইঙ্গিত করেন এবং জানান যে জনগণের ঐক্য এবং সচেতনতা দিয়েই পরিবর্তন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, "আমরা যদি সঠিক মানুষদের নির্বাচিত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে দ্বিতীয় হাসিনার সুযোগ সৃষ্টি হবে না।" রুমিন ফারহানা জনগণের পক্ষে রাজনীতি করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, তবে যে সংস্কার জনগণের কল্যাণে হবে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে তা কার্যকর হবে, সেটা আমাদের লক্ষ্য।"
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা এবং সঠিকভাবে তার বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, "সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতে হবে, যাতে দেশ এবং জনগণের জন্য তা উপকারী হয়।"
এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা একসঙ্গে থাকলে, ঐক্যবদ্ধ হলে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। আমাদের নেতাকর্মীরা সংস্কারের বিপক্ষে না, তবে সংস্কারের বাস্তবায়ন যদি জনগণের স্বার্থে হয়, তাহলে সেটি অবশ্যই হবে।"
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক এবং সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তারা সবাই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে এবং আগামী দিনে বিএনপির নেতৃত্বে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের সমর্থন কামনা করেন।
এজন্য সাধারণ মানুষও সভায় উপস্থিত ছিলেন, যারা নিজেদের ক্ষোভ এবং সরকারের প্রতি অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। তারা একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন দাবি করেন এবং বিএনপির নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
আফরোজা