ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১

যে প্রক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন হয়

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ১ জানুয়ারি ২০২৫

যে প্রক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন হয়

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ‘কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৪’-এ নাম ঘোষণা করা হয়। শিবিরের সংবিধানের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, তিনি আগামী এক বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন।  


এর আগে, কেন্দ্রীয় সদস্যরা অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করেন। সম্মেলনে সেই ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিবিরের সংবিধানের ১৩ ও ১৪ নম্বর ধারায় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বর্ণিত রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হন।  

যদি কোনো কারণে সভাপতির পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হয়, কার্যকরী পরিষদ থেকে একজনকে সাময়িক সভাপতি নিযুক্ত করা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব সদস্যদের ভোটে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। সাময়িক ছুটির ক্ষেত্রে, সভাপতি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শে তিন মাসের জন্য একজন অস্থায়ী সভাপতি নিয়োগ করতে পারেন।  


দায়িত্ব গ্রহণের পর নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার প্রথম কার্যক্রম হিসেবে সেক্রেটারি জেনারেলের নাম ঘোষণা করেন। শিবিরের সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করেন। সেই অনুযায়ী, তিনি নুরুল ইসলাম সাদ্দামকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করেছেন।  


শিবিরের কার্যকরী পরিষদ গঠন এবং পরিচালনায় নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে। সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বছরের জন্য কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি থাকেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল পদাধিকার বলে পরিষদের সদস্য হন।  

সংবিধানের ১৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি সবসময় কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন এবং পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।  

আশিকুর রহমান

×