ছবি: বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পরে তাদের সেনাবাহিনী এবং তাদের জনগণ নব্য বাংলাদেশে কীভাবে লুটপাট করেছিল তা আমরা জানি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্বিচারে শেখ হাসিনা যেভাবে লুটপাট করেছে, ঠিক তেমনিভাবে স্বাধীনতার পর ভারতও বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে। সেই সময় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পেয়েছিল সেই অস্ত্রগুলো তারা ট্রাকে ট্রাকে ভরে ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ান কয়েকটি এসএলআর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সমবায় দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ভারতের আগ্রাসনে, হাসিনার দেশজুড়ে অরাজকতার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
শামসুজামান দুদু বলেন, স্বাধীনতার পরপরই পার্শ্ববর্তী বন্ধু নামধারী দেশটি সদ্য স্বাধীন দেশের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিল সেই একই ব্যবহার আমরা এই ডিসেম্বরেও লক্ষ্য করছি। গত চার মাস আগে ১৬ বছরের এক পৈশাচিক শাসনের অবসান হয়। যখন তার পতন হয়, সেই পতন ভারত আজ পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি। ভারত সেই ভয়ংকর গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা এবং তার দলকে আশ্রয় দিয়েছে। এই আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে তারা গণহত্যাকারী এবং লুটেরার পক্ষের শক্তি। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিনাশ করেছে। ভারত সবসময় আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার বাইরে কখনও আর অন্য কোনো চিন্তা করতে পারে না। এর বাইরে কোনো চিন্তা করতে পারে নেই বলে তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।
দুদু আরও বলেন, একটা দেশের সঙ্গে আরেকটা দেশের চুক্তি হওয়ার পর সংবিধান অনুযায়ী সেই চুক্তি পার্লামেন্টে উত্থাপন করার কথা। শেখ হাসিনার আমলে এ পর্যন্ত একটা চুক্তিও পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে দেখিনি। এমনকি দেশবাসীর সামনে কোনো সাংবাদিক সম্মেলনেও উত্থাপন করেনি। বরঞ্চ শেখ হাসিনা দম্ভ করে বলেছে, আমি ভারতকে এমন কিছু দিয়েছি তা ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো. রতন মিয়া
সাইদ