অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই কারাগারে আটক ছিলেন। তিনি বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বড় ভাই।
বিএনপির মিডিয়া উইন কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ‘২১ আগস্ট’ গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। তখন থেকেই কারাগারে আছেন।
জানা যায়,২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ঢাকার একটি বিশেষ দ্রুত আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন, তার মধ্যে আব্দুস সালাম পিন্টু ছিলেন অন্যতম।
বিদায়ী বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে মামলার আসামীরা আপিল করেন। ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। ২ ডিসেম্বর আপিলের রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ দুপুরের তিনি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেল। মুক্তি পেয়েএ তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর কবরে জিয়ারত করতে যাবেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে।
রহিম/জাফরান