ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বাবার আক্রমণাত্মক ব্যক্তিগত মন্তব্যে আমি কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি: হুম্মাম

প্রকাশিত: ০২:৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০২:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাবার আক্রমণাত্মক ব্যক্তিগত মন্তব্যে আমি কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি: হুম্মাম

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রায় নয় বছর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর কাছে এক সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কি উনার কোন ব্যক্তিগত দ্বন্দের কারণে উনি বেশি টার্গেটেড হয়েছেন ?

তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম বলেন, হ্যাঁ এটা একটা ব্যক্তিগত কারণও থাকতে পারে কারণ আমার বাবার পলিটিক্স অথবা আমার বাবার পার্সোনালিটি যেটা ছিল ঠোঁট কাটা । ওনার ওনার মুখে কোন ফিল্টার ছিল না । যে জিনিসগুলো হয়তো আমরা আপনারা বাড়িতে বসে যেগুলো ডিসকাস করতে সাহস হতো না ওগুলা বাইরে বলার সেই কথাগুলো আমার বাবা বলে ফেলতো। শেখ হাসিনা যেই ভুলগুলি করতো ওগুলা হয়তো অনেক মানুষ ধরিয়ে দিতে ভয় পেত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন সময় ভয় পায়নি। উনি মুখের উপরেই বলে ফেলতো । 

আমার বাবা একটা জিনিস সবসময় বলতো যে ডাকাতকে ডাকাত বলা যায় না, চোরকে চোর ডাকা যায় না এগুলো হয়তো অনেক মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর।  এ সত্যি কথাগুলি বলে ফেলতো ওটার কারণে হয়তো শেখ হাসিনা আমার বাবাকে বেশ কিছুটাই অপছন্দ করতো । আমার মনে হয় যে পার্সোনাল একটা ক্ষোভ ছিল তার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পলিটিক্যালি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল বাংলাদেশের পলিটিক্স এর মধ্যে ওই জিনিসটার কারণে এই দুইটা জিনিস একসাথে করে আমার বাবা একটা খুব বড় থ্রেট হয়ে বসে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য। 

আমার বাবা যেই শিক্ষাটা আমাদেরকে দিয়েছে যে জিনিসটা আমরা অনেক অনেক বছর ধরে দেখি এসেছি ছোটকাল থেকে সংসদের ভিতরে আপনার যেই বিতর্ক হয় যেই কথা কাটাকাটি হয় আমরা সবসময় বলতাম যে আব্বা হয়তো অনেক এক্সেসিভ বলে ফেলেছে হয়তো অনেক মানুষকে পার্সোনালি অ্যাটাকও করেছে । যে জিনিসটা আমাদেরও পছন্দ ছিল না। আম্মা সবসময় আব্বাকে বলতো যে তোমার এই জিনিসটা করা উচিত না । আমি যে জিনিসটা নিজে দেখেছি যে ওই কথা কাটাকাটির পরেও আমার বাবা হয়তো তখন অপোজিশনে একজন লিডার হিসেবে ছিল সে গভমেন্টের কাউকে কিছু বলে পরবর্তীতে কিন্তু তারা একসাথেই ওই সংসদের ক্যান্টিনে বসে একসাথেই স্যান্ডউইচ খাচ্ছে সিঙ্গারা খাচ্ছে ওই সম্পর্কটা একটা পার্সোনাল রিলেশনশিপ কিন্তু ছিল যেই জিনিসটা এখন আর নেই। 

বাবা চেষ্টা করেছিল যে পার্সোনাল রিলেশনশিপ গুলোকে মেইনটেইন করতে। পরবর্তীতে যেটা দেখলাম যে একটা রিলেশনশিপ কিন্তু দুই পক্ষ থেকেই রেসিপ্রোকেট করতে হয় আব্বা করে যাচ্ছিল কিন্তু ওই পক্ষ থেকে কোন কিছু পাচ্ছে না। তখন বুঝলাম যে না এই রিলেশনশিপটা ওয়ান ওয়ে রিলেশনশিপ হয়ে গেছে আব্বা বন্ধুত্ব চাচ্ছিল কিন্তু ওনারা বন্ধুত্ব চায়নি উনারা আব্বাকে দুশমন হিসেবেই দেখেছে আর সবসময় থ্রেট হিসেবে দেখেছে । 

রাজু

×