আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ
এখন আপনারা আলেম সমাজ প্রতিটি মাহফিলে, মসজিদে সব জায়গায় নির্ভয়ে সত্য কথা বলবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা রাজনীতিবিদ তারা চান না আলেমরা সত্য কথা বলুক।তাদের জায়গাটা আপনাদের (আলেমদের) দিয়ে দিক তারা সেটা চান না। এখন আর সেদিন নেই।
২১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা যারা মানুষ হত্যা করেছেন, তারা দেখবেন জেল থেকে বের হলে খুব হাসে। মনে হয় জেলের ভেতর তারা পিকনিকে ছিলেন। কিন্তু আমরা দেখেছি আলেম ওলামাদের যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হতো কিংবা বের করা হতো তাদের কোমরে রশি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হতো কোরবানির পশুর মতো।
আমরা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে দেখেছি, একজন আলেম ওয়াজে কী বলবেন আর কী বলবেন না সেটি ঠিক করে দিতেন ক্লাস ফাইভ পাস নেতা।
তিনি বলেন, দেশে এখনো চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। দখলদারির অবসান হয়নি, শুধু দখলবাজদের পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আলেম সমাজ মসজিদে মসজিদে এসব চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলবেন।
সমাজের সার্বিক বিষয়ে কথা বলা আলেম-ওলামাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা মসজিদে মসজিদে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, হকের পক্ষে, বাতিলের বিপক্ষে কথা বলুন। সমাজ পরিবর্তনে আলেমদের ভূমিকা অপরিসীম।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আলেম সমাজকে সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে সংঘাত লাগাতে না পারে।
এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যারা সংখ্যালঘু রয়েছে, তারা এ দেশে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আমরাই তাদের সবচেয়ে বেশি নিরাপদে রাখতে পারব।
ইসরাত