জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
‘মাদ্রাসা আবুজেহেল তৈরী করে না’ এমন মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসার ৫০ বছর পুর্তিতে সুবর্ন জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘তোমার শিক্ষা যদি তোমাকে আল্লাহ মুখী না করে ওই শিক্ষা শিক্ষা নয়। আজকের যুগের শিক্ষায় তোমাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়র বানাতে পারে আবার ওই শিক্ষায় তোমাকে আবুজেহেলও বানাতে পারে। অতএব শিক্ষা হবে আল্লামুখী। ইমানিয়তের জায়গাটা আমাদের ধারণ করতে হবে। নিজের মধ্যে এই প্রতিজ্ঞা লালন করতে হবে যে, আমি সুন্দর রাষ্ট্র বিণির্মান করতে চাই। ৫৫ হাজার বর্গমাইলে এই দেশটাকে পবিত্র পরিচ্ছন্নভাবে গড়তে চাই।‘
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরো বলেন, ‘শিক্ষায় উপকূলীয় বাউফলের সুখ্যাতি দীর্ঘদিনের। শিক্ষিত জনপদ হিসেবে পরিচিত বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসা সুনাম রয়েছে এ অঞ্চলসহ সারা দেশে। মাদ্রাসাটি শিক্ষা সাংস্কৃতিসহ জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। দেশে ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। উপজেলায় প্রথম কামিল স্তরে উন্নিত হয় এই ধানদী কামিল মাদ্রাসা।’
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার দিনব্যাপি পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী কামিল মাদ্রাসার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সূবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্ভোধন করেন ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. শামছুল আলম।
সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মাদ্রাসার বিশাল ক্যাম্পাস প্রাত্তন ও বর্তমান ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধিজনের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বর্ণঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ, ক্যাম্পাসে ৫০টি বৃক্ষ রোপন, গুনিজন ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা সদরসহ একাধিক স্থানে তোরণ আর ব্যানার-ফাস্টুনসহ সুদৃশ্য রঙিন বাতির বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয় মাদ্রাসা ক্যাম্পস।
মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মাাদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সূবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফীন, ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মু. ইদ্রিস আলী, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি আমির হামজা, মাদ্রাসার প্রাত্তন ছাত্র এনবিআরের কর্মকর্তা দৈয়দ আব্দুল মোমেন, ঝালকাঠির সহকারী জেলা প্রশাসক তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কামরুজ্জামান বাচ্চু/নুসরাত