আশরাফ কায়সার
কিছুদিন আগে আশরাফ কায়সার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন,সেখানে তিনি বলেন, ভারতের ব্যাপারে আমাদের গঠনমূলক নীতি অবলম্বন করতে হবে।
ভারতের যে ভূমিকা গত ১২০ দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি এতে বোঝা যাচ্ছে ভারত একটি মারমুখী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি বলেন ভারত বিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় হওয়া দরকার।
বাংলাদেশে ভারতের বিষয়টি শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রনীতির বিষয় না। শুধু আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় না, কেননা আমাদের আমাদের পলাতক শেখ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিয়েছেন।
শুধু শেখ হাসিনা না আরো নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিয়েছেন। সেইসাথে ভারত এদেরকে ট্রাভেল পাস পর্যন্ত দিয়েছেন, তা না হলে এরা অবাধে সেখানে কিভাবে চলাচল করছেন।
কাজেই ভারত শুধুমাত্র আমাদের পররাষ্ট্র নীতির বিষয় না। ভারত এখন আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন গত ১২০ দিনে যে ধরনের ঘটনা বা অশান্তি বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে, এগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারত জড়িত।
তিনি আরো বলেন গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের তিনটি নির্বাচন গুম করেছেন। পৃথিবীর সবচাইতে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। সেই ভারত আমাদের নির্বাচনকে গুম করতে সাহায্য করেছে।
ভারত আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করেছে। কাজেই ভারত শুধুমাত্র পররাষ্ট্রনীতির বিষয় না।
ভারত সীমান্তে হত্যা করে, আমাদের ৫৪ টি নদীর হিস্যা বুঝিয়ে দেয় না। ভারত আমাদের দেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট নিয়েছে, কিন্তু আমাদের মাশুল দেয় না।
কাজেই ভারত আমাদের অর্থনৈতিক শত্রু। কাজেই ভারত বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ একটি সেল যদি আমরা গঠন না করি ভারতের এই প্রোপাগান্ডা ভারতের এই সফট ন্যারেটিভ বারতে থাকবে।
তিনি বলেন, একই সাথে ভারতীয়রা ফিকশনের দিক থেকে অনেক ভালো। ভারত-পশ্চিমা বিশ্বে এই বার্তা দিবে যে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে চলে গিয়েছে।
এবং অলরেডি তারা এটা করছেন, তিনি আরো বলেন ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার হয়ে উঠেছেন। তারা পাক ভারত যুদ্ধ বলে না বলে ভারত যুদ্ধ।
সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এই যুদ্ধটাকে তারা ইতিহাসে বিকৃতি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যেখানে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষের যোগদান ছিল, এই বিষয়টি ভারত স্বীকার করেনি আজ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ভারত কোন ধরনের বিবৃতি দেয়নি এবং এই অভ্যুত্থানে এত মানুষ যে মারা গেল এই নিয়ে ভারতের কোন অবস্থান দেখা যায়নি।
এ কারণেই ভারতকে কিভাবে আমাদের ডিল করতে হবে সেজন্য অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রণয়ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন এখন যেটা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি টুইট করছেন আমরা সেটা নিয়ে রিয়েক্ট করছি আমাদেরকে রিয়েক্ট করলে চলবে না আমাদের সাথে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নে যেতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন আমাদের দেশ থেকে ঘুরে গিয়ে তাদের সংসদে গিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তখন তাদের কথা বা তার কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল।
তারা বলেছেন যে হাসিনার বিবৃতিকে তারা সমর্থন করছেন না। কিন্তু আমাদের সরকারকে আরও শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে নরেন্দ্র মোদির এই টুইটকে কেন্দ্র করে যে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে সে বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে আমাদের এই অভিযোগ তুলে ধরতে হবে।
আর কে