আন্দালিব রহমান পার্থ
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, রাজনীতিতে আত্মীয়র চাপ হবে কেন? তাহলে তো আমি আওয়ামী লীগে থাকতাম। আমি বুঝতে পারছি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল এক সঙ্গে ব্যালেন্স করা সম্ভব ছিল না।ভোট কারচুপির পর সবার নৈতিকতা ডাউন হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যদি নির্বাচনী ঐক্য করি সেটা বেটার। ঐক্য তো হয় একটা পারপাসে। পারপাস না থাকলে তো ঐক্য টিকবে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রাজনীতিবিদ আন্দালিব রহমান পার্থ।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমি প্রতিদিন শিখি। আপনি যদি বলেন, রাজনীতি আমার সবচেয়ে বড় কোয়ালিটি কী? আমি কোনটা জানি না, কোনটা বুঝি না, সেটা বুঝার চেষ্টা করি। যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছ থেকে শিখছি। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান খালেদা জিয়ার পাশে বসে ১২ বছর ধরে রাজনীতি করেছি।
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বাংলাদেশর শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বসে কাজ করি, মিটিং করি। আড়াই-তিন ঘণ্টার মিটিং একেকটা মিটিং একেকটা কোর্স মনে হতো। যেটা মানুষ ৭০/৭৫ বয়সে পারে না। সেটা আমি অল্প বয়সে পেরেছি। যা বুঝতাম না, তা সিনিয়রদের জিজ্ঞেস করতাম। রাজনীতি অনেক ছোট ছোট জিনিস শিখতেও সাহায্য করছে। এখনো করছে। আমার একটা সুয়োগ ছিল জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদের কাছ থেকে শেখা।
তিনি জানিয়েছেন, আমাদের স্বাত্যন্ত্রতা আছে, আলাদা একটা জায়গা আছে, আমাদের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিল। আমরা যে খোনেই থাকি না কেন, আন্দোলনটা সঠিক ছিল। আমাদের আন্দোলনটা সেখানে ছিল। আমরা আতাঁত করিনি।
আমরা সরকারে নেই জানিয়ে বলেন, এখন তো আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বসা নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, আমরা সরকারকে বলছি। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলেও সরকারকে বলছি। আমরা সরকারে বসা নেই। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলছি, সরকারের কী করা উচিত আপনারা করেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা গাইড করছি।
ভোলা সদরের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সরকার পেয়েছি, নতুন করে স্বপ্ন দেখার যে সুযোগ পেয়েছি, আমাদের কোনো কর্মকাণ্ড যেন শহীদদের আত্মত্যাগকে অপমান না করি। হিন্দু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে কোনো দুর্বল মানুষের প্রতি যেন আমরা অত্যাচার না করি।
এসআর