জন আকাঙ্ক্ষিত সিস্টেম তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা গণভোট এটি বাতিল করা হয়েছিল আদালতের নির্দেশে এটি আবার ফিরলে কার্যকরের বিষয়টা হয়তো সময় সাপেক্ষ যারা জনস্বার্থ বিরোধী এই কাজটি করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে ?
উত্তরে ফুয়াদ বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে যে ২০১১তে যে খুবই তড়িঘড়ি করে এই সংশোধনীটা করা হলো এবং কেয়ারটেকার প্রবেশ টাকে বাতিল করা হয়েছে। আমরা যারা আইনের ছাত্র আছি আমরা জানি যে, কোন মেজর সংশোধনী যদি করতে হয় তাহলে দুই তিনটা পরিচিত জায়গা আছে এগুলো যে প্রসেস ফলো করে করতে হয়। একটা হচ্ছে আপনি ইলেকশনে ম্যান্ডেট নিয়ে আসবেন। আপনি নির্বাচনে বলবেন যে আপনি এবার নির্বাচিত হলে কেয়ারটেকার প্রফেশনটা বাতিল করে দেবেন এবং এই ম্যান্ডেট থাকার পরে যদি আপনি নির্বাচিত হয়ে আসেন আপনি পরে এসে এটা বাতিল করে দেবেন ।
দ্বিতীয় একটা হচ্ছে যে, আপনি যদি এরকম একটা প্রস্তাব দেন পার্লামেন্ট যদি সেটা ইনিশিয়ালি এপ্রুভ করে এরপর এটা আপনি গণভোটে দিয়ে দিবেন যে এটা আমি বাতিল করতে চাই দেশের মানুষ কি মনে করে তো সেই জায়গায় আমরা দেখলাম যে, আওয়ামী লীগের কিন্তু কোন ম্যান্ডেট ছিল না । ২০০৮ এর সোকল্ড ইন্ডিয়ান ইনস্টল ইলেকশন যেটা হয়েছে। এই নির্বাচনে তারা এটা বলে নাই যে আমরা এটা বাতিল করব। দ্বিতীয় যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে যে, সংসদের কিন্তু একটা কমিটি হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তারপরে হচ্ছে সাজেদা চৌধুরীকে এইটার দায়িত্ব দিয়ে ১৫ সদস্যের একটা ক্রস পার্টি । মানে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির একটা কমিটি করা হয় এই কমিটিতে সংসদ সদস্য হিসেবে সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতা এমপি মন্ত্রীরা মতামত দিয়েছে। ইনক্লুডিং হাসিনা মতামত দিয়েছে ওখানে এবং পার্লামেন্টের সেশনে মতামত এসেছে অনেক অনেক বিজ্ঞজনরাও গিয়ে মতামত দিয়েছেন এই কালেক্টিভ মতামতের ভিত্তিতে আমরা যেটা দেখেছি । আমি যে হান্ডসাইট পড়েছি সেখানে দেখলাম যে তোফাইল আহমেদ, আমির হোসেন আমু থেকে শুরু করে সবাই বলেছে যে একটা পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট হয়ে গেছে এটা বাতিল করলে পরে দেশ আবার সংঘর্ষের দিকে চলে যাবে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং দেশের স্বার্থে আমাদের এটা করা উচিত হবে না এবং এর ভিত্তিতেই কিন্তু আপনার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং সাদা চৌধুরীরা যে রিপোর্টটা তৈরি করে সেই রিপোর্টে কিন্তু যেটা বলে দেওয়া ছিল যে এটা থাকা উচিত প্রয়োজনে কিছু অ্যামেন্ডমেন্ট আসতে পারে যে আমরা জুডিশিয়ারির ইনভলভমেন্ট এর ব্যাপারে অনেক কনসার্ন এসেছে যে এটাকে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগে ইন্টারফেয়ার করবার একটা টেন্ডেন্সি পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর মধ্যে আছে সেক্ষেত্রে বিকল্প কোন আয়োজন করা যায় কিনা তো এই প্রস্তাবনাটা।
পিএম আকারে যখন হেড অফ এক্সিকিউটিভ কে তারা দিল রিপোর্ট দেবার দুই তিন দিনের মধ্যে দেখলাম যে হাসিনা ব্রিফিং করে বলল যে এটা বাতিল করে দেওয়া হবে তো সাডেনলি আওয়ামী লীগের সরকার আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটি আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য ঠিক করেছে পার্লামেন্টারি হিয়ারিং তারা তারা কন্ডাক্ট করেছে। রিপোর্ট তারা তৈরি করেছে। হাসিনা সেখানে মতামত দিয়েছে সিনিয়র লিডাররা মতামত দিয়েছে এবং রিপোর্ট যেটা আসলো সাডেনলি দুই তিন দিনের মধ্যে রিপোর্টটা উল্টে গেল এবং তখনকার দেখবেন যে পত্রিকাগুলো তো বেশ সারপ্রাইজের সাথে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেছে যে এটা বাতিল করে দেওয়া হবে ।
থার্ড যেটা করেছে যে আমাদের গত ২০ বছর ২৫ বছর ধরে ১৯৯১ সাল থেকে চলা যে একটা পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট ছিল রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছিল সকল দলকে নিয়ে আমরা নির্বাচনটা করব এবং নির্বাচনকালীন সরকারের পরিগঠনটা কিভাবে হবে এই সেটেলমেন্টটা শুধুমাত্র লিগালিস্টিকলি দেখলে চলবে না । একটা পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট কে যদি আনডু করতে হয় সেটা পলিটিক্যাল কনসেন্সাস এর ভিত্তিতেই করতে হয় কারণ শাহাবুদ্দিন আহমেদকে যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র আনলো ডেপুটি বানাইলো ভারপ্রাপ্ত বানাইলো আবার নির্বাচন করে ওখানে ফেরত গেল এটা কিন্তু কোন সংবিধানের ফ্রেমে ছিল না । কিন্তু কোথায় আমরা এগ্রি করেছি পলিটিক্যাল পার্টিজ রেপ্রেজেন্টেটিভ অফ দা পিপল তারা কনসেন্সেস বিল্ডিং এর মধ্য দিয়ে একটা সিদ্ধান্তে এসেছে । ঠিক একইভাবে আমরা দেখেছি যে ৯৫-৯৬ মিলিয়ে একটা কেয়ারটেকার প্রভিশনকে তখন ৯১ এবং ৯০এর এক্সপেরিয়েন্স টাকে কনস্টিটিউশনালাইজ করা হয়েছে । আগেরটা ইনফরমাল ছিল একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে হয়েছে যদিও পরবর্তীতে এটা সংবিধানে রেটিফাই করা হয়েছে কিন্তু এই কনস্টিটিউশনালাইজ করবার যে প্রসেসটা এটাকে লিগালিস্টিকলি দেখলে হবে না। এইটা একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর একটা ঐক্যমত ছিল তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার এটা বাতিল করে যেটা করেছিল সেটা হচ্ছে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে সংহতি যেটা ফাউন্ডেশনের একটা বড় জায়গা হচ্ছে পিলা হচ্ছে পলিটিক্যাল পার্টিস। তাদের সাথে কোন কনসাল্টেশন ছাড়া ইউনিল্যাটারালি আর্বিট্রারিলি সে এটাকে রিপিল করে ফেলে এবং করবার মধ্য দিয়ে যেটা হয়েছে এর পরবর্তী যত কিছু অনিশ্চয়তা। ইন্ডিয়ান হেজিমনি কায়েম হওয়া গণহত্যার পরে গণহত্যা ভোট চুরি টাকাপাচার লুটপাট যা যা আমরা দেখলাম গত ১৬ বছরে সবকিছু হয়েছে । অতএব কালেক্টিভলি দেখেন আওয়ামীলিকলি যখন ইতিহাস লেখা হবে আজ থেকে ৫০বছর পরে, যেভাবে আজ থেকে আমরা যখন পিছনে যাই ফর পস্টারিটি ৭২ থেকে ৭৫ কে আমরা তো ক্রিটিক করি যে শেখ মুজিব তো জিন্না হইতে পারতো শেখ মুজিব তো গান্ধী হইতে পারতো শেখ মুজিব তো চিত্তরঞ্জন সুতার হইতে পারতো শেখ মুজিব এই সুযোগটা কেন সে হারাইলো ? সে বাংলাদেশের একটা অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন সেই মানুষটা কেন নিজের পায়ে কুড়াল মারলেন? যেই মানুষটা ১৩ ১৪ বছর জেল খাটলেন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করলেন সংগ্রাম করলেন সেই মানুষটা কেন বাকশাল কায়েম করলেন ? জাতীয় দল কায়েম করলেন ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্ট করলেন গণতন্ত্রের প্রত্যেকটা ধারা উপধারা আমাদের সংবিধান ঘোষণাপত্র সবকিছুর সাথে বেইমানী করলেন। যদি হাইন্ডসাইট দিয়ে দেখেন আওয়ামী লীগকে হিস্ট্রি কিভাবে জাজ করবে। আজকের এই যে হাসিনা তার প্রভুর দরবারে বেগম লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে চলে গেল এটার দায়টা কার সে কি আসলে ২০১১ সিদ্ধান্ত দিয়ে শেষ তো বিজয়ী হইলো না। সে আসলে পরাজিত হয়েছে কিন্তু ২০১১সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক বন্দোবস্তকে আনডু করবার যে প্রসেস ফলনা করে দিনশেষে যেটা হয়েছে আওয়ামী লীগ দল আকারে বিলুপ্ত হয়ে গেল এবং সে আগামী দিনের একটা পলিটিক্যাল ডাইনোসর হয়ে গেছে । মুসলিম লীগের ইতিহাসের মতো তার ইতিহাসের জায়গাতেও ইতিহাস এভাবেই দেখবে যে কিভাবে একটা রাইস এবং ফলের চক্রে আওয়ামী লীগ পড়ে গেছে এবং সেখানে কেয়ারটেকার
প্রভিশনটা একটা হিস্টরিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট আকারে আলোচিত হবে।
রাজু