ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসু'র সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন " "এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে, এই সরকারে খুব বেশি দক্ষ ও সাহসী লোক নাই। যারা আছে তারা মাজাভাঙা, কোমড়ভাঙ লোক। অনেকে বয়সের কারণে, অনেকে অভিজ্ঞতার অভাবে বা চাপে পড়ে ভয় পাচ্ছে।"
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর মন্তব্য করেছেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে দক্ষ ও সাহসী লোকের অভাব।
তিনি বলেন, "এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে, এই সরকারে খুব বেশি দক্ষ ও সাহসী লোক নাই।"
তিনি আরও বলেন, যারা সরকারে আছেন, তাদের অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। কেউ বয়সের কারণে, কেউ অভিজ্ঞতার অভাবে, আবার কেউ চাপের মুখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় নুরুল হক নূর এ কথা বলেন।
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠনের আগে নির্বাচন বিলম্বিত হবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয়। ব্যক্তিগতভাবে সরকারের মধ্যে নানা চিন্তা-ভাবনা থাকতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস সম্পর্কে তিনি বলেন, ড. ইউনুস রাজনীতি করবেন বা কোনো দল গঠন করবেন—এমনটা বিশ্বাস করা পাগলামি। তার মর্যাদা ও অবস্থান তৃতীয় বিশ্বের দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির চেয়ে অনেক উপরে। ২০০৬ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
নূর বলেন, বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ভারতের চাপ উপেক্ষা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং জাতীয় সংলাপ আয়োজন করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার মতে প্রধান উপদেষ্টার পরে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের একজন আসিফ নজরুল। একটা গ্রুপ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পেরে অযথাই আসিফ নজরুলের সমালোচনা করছে।
তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়ে তিনি সমালোচনা করেন। তার মতে, বয়সের কারণে বা অন্য কোনো কারণে, তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, “আমরা একজন মেসি বা ম্যারাডোনা পেয়েছি, কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো খেলোয়াড় পাইনি।”
এম.কে.