জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে ধোঁয়াশা ছিল, বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে তা কিছুটা দূর হয়েছে। তিনি নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করায় রাজনৈতিক নেতারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকারকারী দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলও সরকারের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এখন সরকারের মূল কাজ হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেগুলো কাটিয়ে উঠে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে তিনি মনে করেন, নির্বাচন সময়মতো না হলে বা অনিয়মের আশঙ্কা থেকে গেলে এর কোনো মূল্য থাকবে না।
রাজনৈতিক দলগুলো এখন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিরপেক্ষ করার জন্য। নির্বাচনী প্রক্রিয়া অবাধ এবং নিরাপদ হলে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে নির্ভয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে, যা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধান শর্ত।
২০২৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হলেও, এর সফলতা নির্ভর করবে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর।
রাজু