দেশের ভেতরে-বাইরে দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । তিনি বলেছেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির কথা নয়। বিএনপির ছিল ২৭ দফা। পরবর্তীতে স্বৈরাচার সরকারের পতনে বিএনপির সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, সেই সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই ৩১ দফা তৈরি হয়েছে। সুতরাং,স্বৈরাচারবিরোধী সবার সম্মিলিত মতামতের প্রতিফলন বিএনপির এই ৩১ দফা। দলটির ৩১ দফা নিয়ে মানিকগঞ্জ , নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। এজন্য যে কোন মুল্যে ৩১ দফার পক্ষে সমর্থন নেয়ার জন্য জনগণের পিছনে ঘুরতে হবে।বর্তমানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। সংগ্রাম করেই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলেই নিরাপদ দেশ গড়া সম্ভব। ৩১ দফা বাস্তবায়নেই সকল নেতাকর্মীদের জনগণের কাছাকাছি এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে হবে। মায়ের কাছে যেময় একটা দু'টাকার জন্য ভনভন করে ঘুরেছেন,তেমনি জনগণের কাছে ভনভন করে ঘুরবেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে বিএনপিই এদেশে খাল খননের মাধ্যমে একদিকে যেমন পানির সমস্যা দূর করেছিল, তেমনি খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করেছিল। বিএনপিই প্রথম এদেশ থেকে খাদ্য রপ্তানি করেছিল। বিএনপিই দেশের নারীদের শিক্ষিত করার জন্য ইন্টারমিডিয়েট-ডিগ্রী পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করেছিল, বিএনপিই এদেশে শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছিল।
সাবেক সেনাপ্রধানের এই পুত্র আরও বলেন, বাংলাদেশে নিশীরাতের সরকারই হোক আর অন্তর্বর্তীই হোক, দুটি বিষয় নিয়ে বড়াই করে। একটি হচ্ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, আরেকটি হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। অথচ দুটিই তো বিএনপিই করেছিল, এদেশের স্বার্থে, এদেশের মানুষের স্বার্থে।
নরসিংদী জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যনি, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা নেওয়াজ আরলি, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জে বক্তব্যে রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন এর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন,
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রহিমা শিকদার ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
নাহিদা