নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় এজহারনামীয় ১০ আসামিকে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন— চন্দন দাস, আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও সনু দাস।
এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি জানান, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১০ আসামিকে কোতোয়ালী থানার অন্য একটি মামলায় পুলিশের করা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা এবং ২৬ নভেম্বর পুলিশের উপর হামলার অন্য দুটি মামলাতে এই আসামিরা গ্রেপ্তার আছে। চট্টগ্রাম আদালতের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনায় এই আসামিরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় আইনজীবী আলিফের ভাই খানে আলম বাদি হয়ে ২৯ নভেম্বর ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করেন সনাতনী সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ। এসময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নিয়ে যায়। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশের এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম ১১৬ জনকে আসামি করে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
জাফরান